Home » ঢাকায় বিদেশি ফুটবলারদের সংখ্যা বাড়লেও কলকাতার দরজা বন্ধ

ঢাকায় বিদেশি ফুটবলারদের সংখ্যা বাড়লেও কলকাতার দরজা বন্ধ

0 মন্তব্য 66 ভিউজ

আসছে ফুটবল মৌসুমে ঢাকার লিগে বিদেশি খেলোয়াড়দের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়লেও পাশের দেশ কলকাতায় ভিন্ন চিত্র। কলকাতার লিগে বিদেশি ফুটবলারদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের ফুটবলে অনেকেই মনে করছেন বিদেশি খেলোয়াড় থাকায় জাতীয় দল ভুগছে। আর একই সমস্যা সমাধানে কলকাতার ফুটবল মনে করছে বিদেশি আসার দরজা বন্ধ করতে হবে। আইএসএলে খেলবে বিদেশি। কলকাতার লিগে বিদেশি বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের ফুটবলে বিদেশির স্রোত বাড়বে। কারণ এখানে দরজা প্রশস্ত হয়েছে।

বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (আইএফএফ) ওপর ক্লাবগুলোর চটে ছিল। কারণ তারা মনে করছে না বিদেশি বন্ধ করলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু ফুটবল সংস্থার প্রধান কল্যাণ চৌবে এক চুলও নড়েননি। সিদ্ধান্ত অটুট থাকবে। বিদেশি ফুটবলার আসতে পারবে না। সেটা শুধু কলকাতার ফুটবলই নয় রাজ্যে যেখানে যেখানে লিগ হয় সেখানে বিদেশি ঢোকা বন্ধ। কেরালায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল হয় বলে সেখানে বিদেশি আসতে পারবেন। অন্য কোথাও পারবেন না। অতীতে বিদেশি বন্ধ করা হয়নি এবার সেটা করা হলো।’

কলকাতার ফুটবলও ঢাকার ফুটবলের মতোই। বিদেশিনির্ভর হয়ে পড়েছিল। আর তাকে জাতীয় দলে গিয়ে দেখা গেছে স্ট্রাইকার নেই। মাঝমাঠের কোনো ফুটবলার নেই। ডিফেন্ডার নেই। জাতীয় দলের একমাত্র স্ট্রাইকার, সুনীল ছেত্রী। যার ওপর জাতীয় দলকে এখনো ভরসা রাখতে হচ্ছে। সুনীলকে হটিয়ে দেওয়ার মতো একজন স্ট্রাইকার এখনো ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে পারছে না।

সুনীলের পর কে, সেই প্রশ্ন ভারতীয় ফুটবলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কেউ এর জবাব দিতে পারছে না। নতুন ফুটবলার বের করতে হলে বিদেশি ঢোকা বন্ধ করতে হবে। আইএসএল হচ্ছে এখন ভারতীয় ফুটবলের সব মঞ্চ। সেখানে বিদেশি খেলবেন। কিন্তু খেলোয়াড় উঠে আসার জায়গা যেন বিদেশিরা এসে বন্ধ করতে না পারেন সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত। ৬ জন ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করা যেত। চার জন খেলতেন। এখন বিদেশি বন্ধ হওয়ায় প্রতি দলে খেলোয়াড় সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ভারতের ফুটবলের ইতিহাসে এবারই প্রথম বিদেশি ফুটবলার নিষিদ্ধ করল।

কলকাতার ফুটবলের মতো একই সমস্যা ঢাকার ফুটবলে। এখানেও একই অভিযোগ বিদেশিরা সব দখল করে নিয়েছে। বিদেশি স্ট্রাইকাররা ক্লাব ফুটবলের চাবি হাতে নিয়ে নিয়েছে। দেশি স্ট্রাইকাররা বেঞ্চে বসে থাকেন। আর জাতীয় দলের খেলা হলে স্ট্রাইকাররা মাঠে নামার সুযোগ পান। ঢাকার ফুটবলে এখন দেখা যায় শীর্ষ গোলাদাতার নামের তালিকায় এক থেকে দশের ধারে কাছেও নেই বাংলাদেশের কোনো স্ট্রাইকারের নাম। এবার ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি দাবি জানিয়েছিল বিদেশি কোটা কমাতে হবে। সেটা বাফুফে রাখেনি। উলটো খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.