আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ব্লক ইকোওয়াসের নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিল রাশিয়া। এ ধরনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছে মস্কো।
রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভ্যুত্থান সমর্থন করে না। তবে শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ধরনের হস্তক্ষেপ পুরো সাহেল অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে।
তবে ক্ষমতাচ্যুত নেতা মোহাম্মদ বাজুমের অবস্থান পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এও বলছে, রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার এ অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিচ্ছে।
এদিকে, এখনও অভ্যুত্থানের সমর্থকরা রুশ পতাকা নেড়ে রাজধানী নিয়ামের কাছে একটি ফরাসি সামরিক ঘাঁটিতে প্রতিবাদ করছে।
ফ্রান্স ও মার্কিন উভয়ই নাইজারে সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করে। বিস্তৃত অঞ্চলে সশস্ত্র ইসলামীপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে এসব ঘাঁটি ব্যবহার করা হয়।
সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করতে ইকোওয়াস দেশগুলোর সামরিক কর্মকর্তারা আজ শনিবার বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, শেষ অবলম্বন হিসেবে শক্তি প্রয়োগকে পরিকল্পনা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রও স্পষ্টভাবে সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন করেনি। তবে দেশের গণতান্ত্রিক সংবিধান পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে।
নাইজার জান্তা ইকোওয়াস নেতাদের সর্বশেষ বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর আগে হুমকির জবাবে সতর্কতা হিসেবে আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।
গত ২৬ জুলাই রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রেসিডেন্ট বাজোম।