ধারে-ভারে শারজা এফসিই বরং এগিয়ে বিপুল ব্যবধানে। দলটিতে আছে কয়েক বছর আগেও ইউরোপের ফুটবল মাতানো মিরালেম পিয়ানিচ, পাকো আলকাসার, কস্তাস মানোলাসের মতো ফুটবলাররা। ম্যাচের ভাগ্য যেকোনো মুহুর্তে বদলে দেওয়ার সক্ষমতা আছে তাঁদের। কাজেই তাঁদের কিভাবে সামলানো যায়, এখন শুধু সেটি নিয়েই কাটাছেঁড়ায় ব্যস্ত থাকার কথা ছিল বসুন্ধরা কিংসের কোচিং স্টাফের সদস্যদের।
কিন্তু এর সঙ্গে বাড়তি এক ভাবনাও যে জুড়ে গেছে! শারজার অতিরিক্ত তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দুর্ভাবনাই বলা যায় একে!
শারজাতে এখন দিনের বেলা তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রির ওপর। রাত ৮-৯টার দিকে তা কিছুটা কমেও আসে। তবে এমন তাপমাত্রায়ও ম্যাচ খেলার অতীত অভিজ্ঞতা নেই বসুন্ধরা কিংসের। যে কারণে সেখানকার গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার লড়াইও করতে হচ্ছে কিংস ফুটবলারদের।
আগামীকাল শারজা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নামছে বসুন্ধরা কিংস। দারুণ কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই শারজাতে পা রেখেছেন রোবিনহো-আনিসুররা। প্রথম দিন হোটেলে জিম ও সুইমিংয়ে সময় কাটালেও গতকাল প্রথমবার মাঠের অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে অস্কার ব্রুজোনের দল। প্রিলিমিনারি রাউন্ডের এই ম্যাচ শুরু হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
তাই এই সময়ের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে গতকাল সন্ধ্যায় অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের আগের দিন, অর্থাৎ আজও একই সময়ে অনুশীলন করবে বলে জানিয়েছেন কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোন, ‘এখানে অতিমাত্রায় গরম। তাই ম্যাচ শুরুর সময় অনুযায়ী অনুশীলনের সময় ঠিক করেছি। এতে কিছুটা মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে।’ দলে আছে চোটের শঙ্কাও।
পুরো ফিট হতে লড়াইয়ে আছেন কয়েকজন নিয়মিত একাদশের ফুটবলার। পরিস্থিতি যা-ই হোক, মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মনোযোগ হারানো যাবে না বলছেন ব্রুজোন, ‘আমাদের এখন মানিয়ে নিতে পারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রকম অবস্থায় অনেক সময় খেলোয়াড়রা মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। আমি সবাইকে বলেছি, আমাদের লক্ষ্য এখান থেকে ইতিবাচক ফল নিয়ে ফিরে যাওয়া এবং আমরা কী করতে পারি সেটি প্রতিপক্ষকে দেখিয়ে দেওয়া।’
বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক হতে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংসের। তাই কিংসের জন্য এটি ঐতিহাসিক ম্যাচ। এমন ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া দলের ফুটবলাররা। সেটা করতে হলে খেলতে হবে সেরা মানের ফুটবল। কিন্তু শারজার আবহাওয়া ভাবাচ্ছে তাঁদের। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো যেমন বলছিলেন, ‘গরম তো একটা প্রভাব ফেলবেই। আমাদের তো এত গরমে খেলার অভ্যাস নেই। আর এখানে আমরা মাত্র দুটি সেশন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। যে কারণে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আশা করছি, আমরা পারব এবং ভালো একটি ম্যাচ উপহার দেব।’ তা দিতে হলে আগে গরমের সঙ্গে লড়াইতেও জিততে হবে তাঁদের।
পূর্ববর্তী পোস্ট