Home » যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বোমা ফাটালেন মেসি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বোমা ফাটালেন মেসি

0 মন্তব্য 55 ভিউজ

নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে এরই মধ্যে লিগস কাপে ছয়টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। সেই ছয় ম্যাচে ৯ গোল করে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক জিতে নিয়েছেন মার্কিনিদের মন। কিন্তু এতদিনে মেসি একবারও আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। অবশেষে সেই খামতি দূর করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করলেন মেসি। আর প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ব্যালন ডি’অর ও পিএসজিতে যোগ দেওয়া নিয়ে। বলেছেন, পিএসজিতে যেতেই চাননি তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছেন মর্যাদার ব্যালন ডি’অর এখন তার কাছে ‘তুচ্ছ’ ব্যাপার!

আগামীকাল রবিবার নাশভিলের বিপক্ষে লিগস কাপের ফাইনাল খেলবে মেসিদের দল ইন্টার মায়ামি। এই ফাইনালকে সামনে রেখেই প্রথম বারের মতো সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেসি। দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলেছেন রেকর্ড ৭ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তবে তার মধ্যে বিশেষ চমকপ্রদ ছিল পিএসজিতে যোগ দেওয়া ও ব্যালন ডি’অর নিয়ে মেসির মন্তব্য।

ব্যালন ডি’অর নিয়ে মেসির মন্তব্য…

আর কয়েক মাস পরেই বসতে যাচ্ছে ব্যালন ডি’অরের আসর। ইউরোপ ছেড়ে মেসি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও গত বছর বিশ্বকাপ জয়ের সুবাদে মেসি ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে থাকবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করা হয়, আসন্ন ব্যালন ডি’অর নিয়ে তিনি কি ভাবছেন? উত্তরে মেসি যা বলেছেন, তা শুনে প্রশ্নকারীসহ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সব সাংবাদিকই হয়তো অবাক হয়ে গেছেন। মেসি বলেছেন, ব্যালন ডি’অর পাওয়া না পাওয়া এখন তার কাছে কোনো ব্যাপার না!

ব্যালন ডি’অর যে কোনো ফুটবলারের জন্য স্বপ্নময় ব্যাপার। একসময় মেসির কাছেও তাই ছিল। কিন্তু ক্যারিয়ারে ৭ বার ব্যালন ডি’অর জেতা ও বিশ্বকাপ জয়ের পর এখন আর এ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই তার। অনেকটা সন্নাসীর ভঙ্গিতে মেসি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, আমি এটা নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। যদি পুরস্কারটা পাই, ভালো। যদি না পাই, তাহলেও আমার কিছু যায়-আসে না।’

কেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদার ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর নিয়ে এখন এতটা বৈরাগ্যভাব মেসির? কারণটা শুনুন মেসির মুখেই, ‘আমি ভাগ্যবান যে ক্যারিয়ারে সব কিছুই জিতেছি। আমার ক্যারিয়ারে একমাত্র যে অপূর্ণতাটি ছিল, সেই বিশ্বকাপ জয়ের পর আসলে আমি এটা নিয়ে তেমন ভাবছি না। আমার কাছে সেরা পুরস্কার ছিল বিশ্বকাপ। আর সেটা জিতে আমি এখন মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি।’

পিএসজিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে…

ক্লাব ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়টাই মেসি কাটিয়েছেন বার্সেলোনায়। কাতালন ক্লাবটিতে বেশ সুখেই ছিলেন তিনি। মেসি সুখী ইন্টার মায়ামিতে এসেও। যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর হাসি যেন তার মুখে লেগেই আছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনেও যেন প্রবেশ করলেন মুখভরা হাসি নিয়ে। পুরো সংবাদ সম্মেলনেই ছিল সেই হারিস রেশ। কিন্তু দুই মৌসুমের পিএসজি অধ্যায়টা কঠিন ছিল মেসির জন্য। ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর মেসি প্রকাশ্যেই বলেছেন, পিএসজিতে সুখী ছিলেন না তিনি। এবার বললেন, পিএসজিতে তিনি যেতেই চাননি। মানে ফরাসি ক্লাবটিতে গিয়েছিলেন ইচ্ছার বিরুদ্ধে। ‘আমি আসলে পিএসজিতে যেতেই চাইনি। এমনকি বার্সেলোনাই ছাড়তে চাইনি। বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়াটা ছিল আমার জন্য খুব খুব কঠিন।’

বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়া নিয়ে…

বয়স হলেও পায়ে এখনো ফর্ম, তাতে মেসি চাইলে আরও দুই-একটা মৌসুম ইউরোপেই মাতাতে পারতেন। কিন্তু মেসি ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ‘ফুটবলারদের বৃদ্ধাশ্রম খ্যাত’ যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামিতে। অনেক ভেবে চিন্তেই যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন মেসি, ‘আমি এখানে খুব সুখে আছি। এটা এমন একটা জায়গা, যেখানে আমি আসতে চেয়েছি। এমন নয় যে, আজ বা কাল, দুই দিন ভেবেই সিদ্ধান্তটা হুট করে নেওয়া। বরং লম্বা সময় ধরে অনেক ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি আমি।’

এমএলএসের ভবিষ্যৎ নিয়ে…

মেসির পদার্পণে এরই মধ্যে এমএলএস নিয়ে বিশ্ববাসীর আগ্রহ-উন্মাদনা অন্য মাত্রা পেয়েছে। মেসির বিশ্বাস, এমএলএস সামনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলও অনেক উন্নতি করবে, ‘এখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) ফুটবল এগিয়ে যাওয়ার সব সম্ভাবনাই আছে। তবে উন্নতিটা অনেকাংশে নির্ভর করছে লিগের ওপর। এখন সেই সময়। তাছাড়া সামনে এই দেশটিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টও আছে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ। এই লিগের বড় লাফ দেওয়ার এবং বড় হয়ে উঠার এটাই সময়।’

ইত্তেফাক/জেডএইচ

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.