Home » শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতাই হবে চমৎকার’

শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতাই হবে চমৎকার’

0 মন্তব্য 84 ভিউজ

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন-অগ্রগতি করেছে তাতে এই সরকারের ধারাবাহিকতা দেখতে পারাটা চমৎকার হবে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এন্ড্রু গারবারিনো। তার মতে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ যে কৃতিত্ব দেখিয়েছে তা অনুকরণীয়। আর বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে তার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী গণতন্ত্র বজায় রাখা। তিনি মনে করেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে উন্নতি করেছে, তাতে এ সরকারের ধারাবাহিকতা দেখাটা হবে চমৎকার।

এ ছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই ধারা বজায় রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসছেন। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপে দেখা যাচ্ছে, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আগের থেকে আরও বেড়েছে। জানুয়ারিতে হতে যাওয়া বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমেরিকাকে বর্তমান সরকারের নীতির বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি মনে করেন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকাটাই হবে চমৎকার।

বাংলাদেশ বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৪ বছরেরও অধিক সময়ে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন এবং অর্জন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্য কোনো সরকারের আমলে সম্ভব হয়নি। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনে পদদলিত গণতন্ত্র আবারও রক্ষা ও প্রতিষ্ঠা করতে এবং তা অব্যাহত রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে আন্দোলন শুরু করে আজ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। উন্নয়নের এমন কোনো দিক নেই, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পদচারণা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। পুরো বিশ্ব আজ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মার্কিন কংগ্রেসম্যানের মতো বিশ্বের অন্যান্য নেতা ও নেত্রীরাও মনে করে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার এই ধারা শেখ হাসিনার হাত ধরে অব্যাহত থাকা উচিত।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে সবসময়ই পথ চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তারই দেখানো পথে হেঁটে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক, গণতন্ত্রের সূচক, দেশের উন্নয়নের সাথে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সবকিছুতে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অদম্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। এই তলাবিহীন ঝুড়ি ভারতসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের তুলনায় দ্রুত সম্প্রসারিত অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে পৃথিবীর বুকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক দশক ধরে, পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বেশিরভাগ লক্ষ্য অর্জনে দেশটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এমডিজির আওতায় বেশিরভাগ সামাজিক সূচকের লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশ প্রতিবেশী ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মুক্তির পথ ও পাথেয় হয়ে কাজ শুরু করলেন। প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশে তার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে অন্যরকম উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তিনি বিশ্বনন্দিত নেত্রী হিসেবে পেয়েছেন স্বীকৃতি।

১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের দ্বারা অর্জিত যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে বিশ্বে ৩৭তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতিতে উন্নত দেশে পরিণত হবে। আর ২০২৬ সালেই বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ এবং ২০৪১ সালেই ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছর ধরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার।

অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি দেশের একটি আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটিই উন্নয়নের মাইলফলক। সফলভাবে কারোনা মহামারি মোকাবিলা, শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারীশিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতনভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

গত ১৪ বছরে দেশ আর্থসামাজিক উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনায় আছে বলেই এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে কাজ করছে। এজন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে পেরেছে। দেশ আজ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০২২ সালে দেশে ৪ কোটি ৪ লাখ টন চালসহ ৪ কোটি ৭২ লাখ টন দানাদার শস্য উৎপাদিত হয়েছে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, সবজি, ফলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার থেকে ২ হাজার ৭৬৫ ডলারে উন্নীত হয়েছে। সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ২ ভাগ। মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনায় আছে বলেই এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে।

অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে গত বছর জুনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ জেলাকে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সড়কপথে সরাসরি যুক্ত করেছে। উদ্বোধন করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পায়রা সেতু। গত নভেম্বরে দেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

দেশের অনেক মহাসড়ক চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। অন্যগুলোর কাজ চলছে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে এবং বিমানবন্দর-কুতুবখালী এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ খুব শিগগিরই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে এবং স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এখন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-২-এর জন্য কাজ চলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন রক্ষা পায় এবং উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে, সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। এখন এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা এশিয়ার বিভিন্ন দেশসহ পুরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে আজ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমের ফসল আজকে বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা।

অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের উন্নয়নের চেহারা ছিল বর্তমান সময়ের উন্নয়ন অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত।

বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল অনেক কম, বেকারত্বের হার ছিল অনেক বেশি, ছিনতাই, লুটপাট, রাহাজানি, মারামারি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতি, ধর্ষণ, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি ছিলো নিত্যনৈমেত্তিক বিষয়। জনজীবনে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা ছিল না। বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল অনেক কম, বিদ্যুৎ সংকট, গ্যাস সংকট এসব ছিল প্রতিদিনের সমস্যা। সুতরাং বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলের বাংলাদেশের দুরাবস্থাই প্রমাণ করছে, বিএনপি-জামায়াত দেশ এবং দেশের মানুষের উন্নয়নের পরিবর্তে দেশের ক্ষতিই করছে এবং এখনও আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অপপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিএনপি-জোট সরকারের আমলে দুর্নীতিতে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বিশ্বে উন্নয়নের রোড মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক।

বাংলাদেশের উন্নয়ন বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার হাত ধরেই বিগত সালে যেমন হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। অন্য কোনো সরকারের আমলে বাংলাদেশের এমন অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়নি এবং কখনো হবেও না। এই ক্ষেত্রে মার্কিন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এন্ড্রু গারবারিনোর সুরে সুর মিলিয়ে আমরাও বলতে চাই, শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতাই হবে চমৎকার! যতদিন রবে শেখ হাসিনার হাতে এই দেশ, ততদিন পথ হারাবে না সুজলা সুফলা মাতৃসম আমাদের এই বাংলাদেশ।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.