নাইজারের সামরিক প্রশাসন রাজধানী নিয়ামেতে ফরাসি দূতাবাসের পানি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। নেই কোনো খাদ্য সরবরাহের অনুমতি। স্থানীয় সময় রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। দেশটির জিন্ডারে অবস্থিত ফরাসি কনস্যুলেটেও তারা একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্য সেফগার্ডিং অব কান্ট্রির (সিএনএসপি) জাতীয় সহায়তা কমিটির সভাপতি এলহ ইসা হাসুমি বোরেইমা, নাইজারে ফরাসি ঘাঁটিতে পানি, বিদ্যুৎ এবং খাদ্যপণ্য সরবরাহ স্থগিত করতে বলেছেন। নাইজারের জান্তা বাহিনী বলেছে, যারা পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহ করে ফরাসিদের সাহায্য করবে, তারা জনগণের শত্রু বলে বিবেচিত হবে। ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে দেশ ত্যাগের জন্য সামরিক প্রশাসনের দেওয়া দুই দিনের সময়সীমা রবিবার শেষ হওয়ার পর এই প্রতিবেদনগুলো সামনে এসেছে।
এর আগে, ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল নাইজার।
নাইজারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাকেরি সাঙ্গারি জানিয়েছিলেন, ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তে নাইজারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আমন্ত্রণে সাড়া দেননি। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকায় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা নেতারা এই ঘোষণা দেন। শুক্রবার ঘোষণাটি দেন জান্তা বাহিনীর নিয়োগ দেওয়া নাইজারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এই বিষয়ে প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স বলেছিল, ‘এই ধরনের বহিষ্কার আদেশের অধিকার, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নেওয়া কোনো নেতার নেই।
প্যারিস নাইজার সেনাদের অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে বলেছে, ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বাজুমকে অবশ্যই অফিসে ফিরিয়ে দিতে হবে। ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘পুটশিস্টদের (অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নেওয়া) এই অনুরোধ করার ক্ষমতা নেই, রাষ্ট্রদূতের অনুমোদন শুধু বৈধ নির্বাচিত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আসে।’
নাইজারে গত ২৬ জুলাই রাষ্ট্রপতির গার্ডের প্রাক্তন কমান্ডার জেনারেল আবদুরাহামানে তচিয়ানি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান এবং রাষ্ট্রপতি বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ফ্রান্স এই মাসের শুরুতে নিয়াম থেকে তার নাগরিকদের পাশাপাশি অন্য নাগরিকদের সরিয়ে নিতে একটি অভিযান শুরু করে।
পূর্ববর্তী পোস্ট