বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম নিরাপত্তা সংলাপ মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করেছে।
এই সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় এসে পৌছেছেন মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিকে। এক টুইটবার্তায় এই নিশ্চিত করেছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস।
টুইটে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিককে স্বাগতম।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপের জন্য ঢাকায় এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল আঞ্চলিক উন্নয়ন, মানবাধিকার, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে আলোচনা করবে।
সংলাপে বাংলাদেশ র্যাবের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চাইতে পারে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র জোর দেবে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের ওপর।
সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন ব্যুরো অব পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেসনিক।
দুদেশের মধ্যে প্রতিবছর এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। অষ্টম সংলাপ ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবার ঢাকায় হচ্ছে। নিরাপত্তা সংলাপের বিষয়ে বেসামরিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিরাপত্তাসংক্রান্ত সব বিষয় আলোচিত হয়ে থাকে।
মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, সংলাপে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওনাল ইস্যু, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং সন্ত্রাস দমনসহ আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ সংলাপ দুই দেশের ব্যাপক নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ।
মার্কিন দূতাবাস বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তাবিষয়ক অংশীদারত্ব অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের দুই দেশের স্বার্থ অভিন্ন।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত, অবারিত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে দেশ দুটির দৃষ্টিভঙ্গি একই ধরনের। এ পারস্পরিক লক্ষ্যগুলো অর্জনে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সংলাপ আয়োজিত হয়।