অধিকৃত গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান নৃশংস গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ না থামলে যেকোনো সময় আঞ্চলিক পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে।খবর ইরনার।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান বিন জাসিম আলে সানির সঙ্গে এক বৈঠকে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ইরাক, লেবানন ও সিরিয়া সফর শেষে শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত থাকলে কেউই এ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না যে, মধ্যপ্রাচ্যে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা একইরকম থাকবে।
ইসরাইল যখন গাজা উপত্যকায় ‘দীর্ঘ যুদ্ধ’ করার জন্য তিন লাখ রিজার্ভ সেনা তলব করার কথা ঘোষণা করেছে তখন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই হুশিয়ারি দিলেন।
গত এক সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আব্দুল্লাহিয়ান এ হত্যাকাণ্ডের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ইহুদিবাদী সরকার প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে যাবে এটা সহ্য করা যায় না। এই হত্যাকাণ্ড এবং গাজার মানুষের ওপর আরোপিত অবরোধের সমাপ্তি ঘটাতে হবে।
গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতি আমেরিকার নিঃশর্ত সমর্থনের তীব্র নিন্দা জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, যখন প্রতি মুহূর্তে ইহুদিবাদীদের হাতে ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছেন, তখন আমেরিকা বাকি সবাইকে আত্মসংবরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে। একই সময়, ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করার জন্য তিনি কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে তার কাতারি সমকক্ষ গাজা পরিস্থিতির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আব্দুর রহমান আলে সানি বলেন, ফিলিস্তিন হচ্ছে গোটা মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থনের ক্ষেত্রে ‘আঞ্চলিক দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ রয়েছে’ বলেও তিনি দাবি করেন।