Home » বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আইন দেখে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে : ইসি রাশেদা

বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আইন দেখে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে : ইসি রাশেদা

0 মন্তব্য 62 ভিউজ

বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলে পুনঃ তফসিল দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে বিএনপিকে ফরমালি (আনুষ্ঠানিকভাবে) ভোটে আসার কথা জানাতে হবে।
আজ সোমবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে। আজ হরতালের দ্বিতীয় দিন।
ভোটের বাইরে থাকা বিএনপিসহ অন্যান্য দল যদি ভোটে ফিরতে চায়, সে ক্ষেত্রে এ তফসিলে কি ফেরা সম্ভব বা নাকি বিএনপির জন্য কোনো বিবেচনা থাকবে—এমন প্রশ্নে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘দেখেন যদি ফিরতে চান, আমার জানামতে পূর্বেও ওনারা একটু পরেই এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন।
ওনারা যদি ফিরতে চান, কীভাবে কী করা যাবে, নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করব। সিদ্ধান্ত নেব। ওনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম (স্বাগত) করব। কখনোই চাইব না যে ওনারা আসতে চেয়েছেন, আমরা ফিরিয়ে দেব, এটা হবে না।’
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘বিস্তারিত এখন কিছুই বলব না। ওনারা যদি আসেন, আমরা কমিশনাররা বসব। আইনকানুন দেখব। তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়। অগ্রিম কিছু বলতে পারব না।’
তার মানে আপনারা বিবেচনা করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এলে তো বিবেচনা করবই। অবশ্যই করব। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।’
এই বিবেচনার মধ্যে কী পন্থা আছে—জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘কী পন্থা আছে, এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। আপনারা দেখেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানামতে, ওনারা আসছিলেন। ওই নির্বাচনে কিন্তু ওনাদের জন্য একটু স্পেস (জায়গা) তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করব। আমি ডিটেইল (বিস্তারিত) আর কিছু বলব না।’
জাতীয় পার্টি (জাপা) তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে, তো তফসিল একটু পেছানো যায় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা কিছুই বলব না।
অগ্রিম বলার সময় এখনো আসেনি। যখন আসবে, যেটা হবে, সেটাই বলব। পরিস্থিতি যখন আসবে, পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম এ বিষয়ে কোনো কথাই বলব না। বলা উচিতও নয়। ওনারা এলে আমরা ওয়েলকাম করব। এটার জন্য আইন অনুযায়ী যেভাবে পথ সৃষ্টি করতে হবে, সেভাবে করব। কিন্তু আগেই বলব না।’
রাশেদা সুলাতানা বলেন, ‘সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি ওনারা আসেন, কাজেই এখনই কিছু বলব না। অতীতে যেভাবে হয়েছে, আমরা দেখব। যদি বাড়ানো প্রয়োজন হয়, বাড়াব। যদি বাড়ানোর মধ্যে না হয়ে এমনিই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নেই। যদি এই তফসিলের মধ্যেই আসেন, তাহলে তো তফসিলে হাত দেওয়ার দরকার নেই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলাতানা আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনো স্পেস (জায়গা) আছে। মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত, তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে না—এমন কোনো কথা নয়। যেকোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন। আসেন, নির্বাচন করেন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভালো, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।
ভোটাররা এসে স্বাধীনভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাঁদের যাঁকে ইচ্ছা তাঁকে মনোনয়ন করবেন। নিশ্চয় আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করব।’

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.