Home » দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার থেকে কার্যক্রম শুরু

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার থেকে কার্যক্রম শুরু

0 মন্তব্য 49 ভিউজ

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে মাঠে কার্যক্রম দেখা যাবে বলে আশা করছি।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রত্যেকটি সবজির দাম বেড়েছে। মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রশাসনকে দৃশ্যমান অ্যাকশন নেই- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেন কালকে থেকে কী হয়। কালকে থেকে নিশ্চয়ই কার্যক্রম দেখবেন, আমি আশা করছি।
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় সেগুলোর সরবরাহ পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়েও কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি উৎপাদন যেন কোনো অবস্থায়ই ব্যাহত না হয় এবং একই সাথে কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার ইতোমধ্যে কিছু তৈরি করা হয়েছে এবং আরও কিছু তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চারটি স্তম্ভের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ- এই চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে সব মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে যে, ওই অংশের সাথে জড়িত অংশটুকু যেন তারা পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করে।
‘যে প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে, সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যে প্রকল্প থেকে জনগণ উপকার পাবে সে প্রকল্প নিতে বলেছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, তা খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করে যেন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।’
সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কথা বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওনার (প্রধানমন্ত্রী) জিরো টলারেন্স এবং সকল মন্ত্রণালয়কে একই নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশনা দিয়েছেন।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেগুলো আছে সেগুলো যেন প্রকৃত উপকারভোগীরা পায়, সেটি মনিটর করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। শূন্যপদ পূরণ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি শূন্যপদ পূরণে নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের যে ধারা তৈরি হয়েছে, সেটি যাতে কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং নতুন বাজারে কীভাবে প্রবেশ করা যায়, সে নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন। বিশেষ করে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্যের বিষয়ে তিনি বলেছেন। গার্মেন্টসকে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে সে রকম সহায়তা দিয়ে তিনটি ক্ষেত্রে যেন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয় সেজন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।
শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন যে, আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া যাতে সেটি বেশি কর্মমুখী হয়। ফ্রিল্যান্সিং আরও বাড়তে পারে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.