Home » ‘পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র’

‘পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র’

0 মন্তব্য 45 ভিউজ

দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশনকে এগিয়ে নিতে আমরা দুই দেশ আগেও একসঙ্গে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে আমাদের এই দুটি খাতে আরো সাহায্য করতে পারে তা আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অতীতেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মতের অমিল হলেও আমরা বন্ধুত্বের স্বার্থে সেটা আলোচনা করে সমাধান করেছি। পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে আমাদের অংশীদারিত্ব যাতে আরো জোরদার হয় বিশেষ করে নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট যেন আমরা তাড়াতাড়ি চালু করতে পারি সেই বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাস্ট্রের অংশীদারিত্ব অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সামনে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে। আমরা তা দ্রুত শেষ করতে সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি ও বাংলাদেশ বিমানকে সহায়তা করব।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং এর কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
আমরা চাই, বোয়িং যেন এই উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়াটি যেন একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই চায় যে বাংলাদেশ বিমানে আরো বোয়িং উড়োজাহাজ যুক্ত হোক। তবে আমরা আর্থিক ও কারিগরি দিকসহ সবকিছু বিবেচনা করে যেটি ভালো হবে সেই সিদ্ধান্ত নেব। বোয়িং বা এয়ারবাস যে কম্পানি থেকে কিনলে বাংলাদেশের জন্য সুবিধা হবে আমরা সেখান থেকেই কিনব।
নিউইয়র্কের সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এফএএ অডিট কবে নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষে আইকাও এর একটি অডিট টিম কাজ করছে।
তারা যাওয়ার পরে আমরা একটা সুবিধাজনক সময় এফএএ কে অডিটের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো। তবে সেটা এ বছরই হবে।
এদিকে পিটার হাসের বৈঠকের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় অস্ট্রেলিয়াতে ৮০ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার।
জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সম্পর্ক খুবই চমৎকার। পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে আমাদের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশে পর্যটনের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করব। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.