ফিলিস্তিনের গাজায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) ত্রাণকর্মীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ঘটনাটি ‘ভুল’ ছিল না। বরং এটি ‘পরিকল্পিত’ হামলা ছিল বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওই দাতব্য সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা জোসে আন্দ্রেজ। তিনি বলেন, ডব্লিউসিকের ত্রাণকর্মীদের গতিবিধি আগে থেকেই ইসরায়েলি বাহিনীকে জানানো হয়েছিল। তারপরও ত্রাণকর্মীদের একের পর এক গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
সোমবার গাজার দেইর আল–বালাহ এলাকায় ডব্লিউসিকের ত্রাণকর্মীদের ওপর বিমান থেকে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সাত ত্রাণকর্মী নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার দ্বৈত নাগরিক এবং যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও পোল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন। যদিও এই হামলাকে ‘গুরুতর ভুল’ বলে দুঃখপ্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
ডব্লিউসিকে জানিয়েছে, ত্রাণকর্মীরা দেইর আল–বালাহ এলাকায় একটি ওয়্যারহাউসে ত্রাণ নামিয়ে বের হওয়ার পরই হামলার শিকার হন। ওই সময় সমুদ্রপথে গাজায় পাঠানো ১০০ টনের বেশি ত্রাণ তারা সেখানে পৌঁছে দেন।
সংগঠনটি আরও জানায়, ওই ত্রাণবহরে তিনটি গাড়ি ছিল। এর মধ্যে দুটি ছিল সশস্ত্র। গাড়ির দৃশ্যমান জায়গায় বড় করে ডব্লিউসিকের লোগো দেওয়া ছিল। এরপরও তিনটি গাড়িতেই হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলে চ্যানেল১২ নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জোসে আন্দ্রেজ বলেন, ত্রাণকর্মীদের গাড়িগুলোর গতিবিধি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সবাই জানত। তাই এটা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা গাড়িতে সরাসরি হামলার ঘটনা।
পূর্ববর্তী পোস্ট