ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল। প্রতিশোধমূলক এ হামলার অন্যতম লক্ষ্য হতে পারে ইরানের পারমাণবিক চুল্লি ও গবেষণাকেন্দ্রগুলো। সোমবার ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বৈঠকে বসে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। সেখানে ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে মন্ত্রিসভা। তবে কীভাবে এ জবাব দেওয়া হবে সে বিষয়ে গণমাধ্যমে মুখ খোলেননি মন্ত্রিসভার কেউ।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামলার ধরন ও লক্ষ্যবস্তু নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা না হলেও ইরানের পারমাণবিক চুল্লি ও গবেষণাকেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা। আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে, ইসরায়েল আক্রমণ চালালে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ইরান জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি। তিনি বলেন, এবার হামলার জবাব দিতে তেহরান আর ১২ দিন অপেক্ষা করবে না। এমনকি ঘণ্টাও দেরি করবে না, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে।
ইরানি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন তিনি। আলি বাঘেরি বলেন, সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার মধ্য দিয়ে ইহুদিবাদী ইসরায়েল কৌশলগত ভুল করেছে। এই হামলার মাধ্যমে ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রমাণ উপস্থাপনের বৈধ সুযোগ করে দিয়েছে। যদি তারা (ইসরায়েল) আমাদের দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগে হামলা না চালাত, তাহলে এই সুযোগ আসত না।’
পূর্ববর্তী পোস্ট