ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই আটক করা হলো রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা এই মন্ত্রীকে সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে তৈমুরকে আদালতে তোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। চলছে বিস্তর তদন্ত।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। অসমর্থিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, তার নেওয়া ঘুষের পরিমাণ ১০ লাখ রুবলের চেয়েও বেশি। এই ধরনের অপরাধে বড় অঙ্কের জরিমানা এবং ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হয়ে থাকে।
তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার জানিয়েছে, তৈমুর ইভানভকে আটক করার পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হওয়া ৪৭ বছর বয়সী তৈমুর ইভানভ মূলত দেশটির সামরিক অবকাঠামো প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন।
২০২২ সালে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে নির্মাণকাজের সময় দুর্নীতির পরিকল্পনায় অংশগ্রহণের জন্য রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকে অভিযুক্ত করেছিল দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশন বা এসিএফ।
এই সংস্থাটি রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
এসিএফ বলছে, বিশেষ করে ইউক্রেনীয় বন্দরনগরী মারিউপোলের নির্মাণ প্রকল্প থেকে লাভবান হয়েছেন তৈমুর ইভানভ।
তৈমুর ইভানভ পূর্বে মস্কো অঞ্চলের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর এখানেই বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
শোইগুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে তার পরিচিতি রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ইভানভের ওপর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি তার সম্পদও জব্দ করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে একটি সংকটময় সময় পার করছে রুশ সেনাবাহিনী। নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। এ সময় উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আটকের খবরটি নিশ্চিতভাবেই মর্মাহত করবে পুতিন সেনাদের।
পূর্ববর্তী পোস্ট