Home » বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ আটকাল জিম্বাবুয়ে

বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ আটকাল জিম্বাবুয়ে

0 মন্তব্য 51 ভিউজ

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে। ওই তিন ম্যাচে টানা জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেন স্বাগতিকরা। মিরপুর পর্বের প্রথম ম্যাচেও জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। এতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ হোয়াইটওয়াশের লজ্জার সামনে দাঁড়ান সফরকারীরা।
তবে ম্যাচটিতে টাইগারদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ আটকাল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য ৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় আফ্রিকার দলটি। এতে ৪-১ এ শেষ হয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
১৫৮ রানের তাড়ায় দারুণ শুরু আনেন বেনেট। ৪ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছিলেন এই ডানহাতি। এর পর উড়তে থাকেন। তৃতীয় ওভারে শেখ মেহেদীকে টানা তিন বলে দুই ছক্কা আর চারে আনেন ১৬ রান। সাইফুদ্দিনের করা পরের ওভার থেকেও আসে ১৪ রান। ৪ ওভারে ৩৮ তুলে ফেলেন সফরকারীরা।
পঞ্চম ওভারে সাকিবের বলে টাডিওয়নশে মারুমানি স্টাম্পিং হলে প্রথম উইকেট পড়ে জিম্বাবুয়ের। সেটা বড় ধাক্কা হয়নি, কারণ দারুণ জুটিতে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিতে থাকে বেনেট-রাজা। রাজা থিতু হতে সময় নিয়েছেন, বেনেট ধরে রেখেছেন গতি। একজন পেসার কম নিয়ে খেলায় বাংলাদেশও তাদের ওপর চাপ বাড়াতে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটির পরও বেনেট ছুটতে থাকেন। তার ঝাঁজে স্বাগতিক দলের সম্ভাবনা ক্রমশ মিইয়ে যায়। ৪৯ বলে ৫টি করে ছক্কা-চারে ৭০ করে বেনেট যখন সাইফুদ্দিনকে ক্যাচ দেন ততক্ষণে ম্যাচ মুঠোয় জিম্বাবুয়ের।
অধিনায়ক রাজা পরে জোনাথন ক্যাম্পবেলকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন অনেকটা তুড়ি মেরে। পুরো সিরিজে ব্যর্থ জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শেষ ম্যাচে ৬ চার, ৪ ছক্কায় করেন ৭২।
সকালে টস হেরে খেলতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় বাজে। আগের ম্যাচে ঝলমলে ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিম এবার থিতুই হতে পারলেন না। ৫ বল খেলে ২ রান করে ক্যাচ দেন ব্লেসিং মুজারাবানির বলে। সৌম্য সরকার ব্রায়ান বেনেটকে ছক্কায় উড়িয়ে শুরু করলেও টিকতে পারেননি। বেনেটের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ বলে ৭ রান করে।
চট্টগ্রামে প্রথম তিন ম্যাচে দলকে জেতানোয় বড় ভূমিকা রাখা তাওহিদ হৃদয় ঢাকায় এসে নিষ্প্রভ। আগের দিনের মতন এবারও রান পাননি। এবার বেনেটকে কাত করতে গিয়ে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে।
বিরূপ পরিস্থিতিতে চারে নেমে টানা তিন চারে শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নড়বড়ে শুরু পাওয়া শান্তর সঙ্গে জমে উঠে তার জুটি। শান্ত সাবলীল না থাকলেও মাহমুদউল্লাহর ব্যাট ছিল সচল। দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি। একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে শেকল ছেড়ে বের হন শান্ত।
তবে এদিনও বড় রান পাওয়া হয়নি তার। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে এক ছক্কা মেরে পরে ক্যাচ দেন ডিপ মিড উইকেটে। ২৮ বলে থামেন ৩৬ করে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পরে যোগ দিয়ে সাকিব আল হাসান করেন ৩৯ রান। তবে তাদের জুটি ছিল তুলনামূলক মন্থর। ৩৯ রান আনতে তারা লাগান ৩৩ বল। ১৭ বলে ২১ করে লুক জঙ্গুইর শিকার সাকিব। একপর্যায়ে মাহমুদউল্লাহ ৪৪ বলে থামেন ৫৪ করে।
শেষ দিকে জিম্বাবুয়ের আলগা বোলিংয়ের সুবিধা তোলেন জাকের আলি। তার ১১ বলে ২৪ রানের ইনিংসে দেড়শ পার করে বাংলাদেশ। ওই রান যে এখানে যথেষ্ট না তা বুঝিয়ে দেন বেনেট-রাজারা।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.