আফগানদের হারিয়ে ফাইনালে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবার ফাইনালের কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়েছে। এবার ফাইনালের অন্য প্রতিপক্ষের অপেক্ষা। রাতে গায়ানায় প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও ইংল্যান্ড। যদিও হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে আছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
প্রথম সেমিফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখলেও নেই ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে। অথচ গায়ানায় এই ম্যাচেই বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল, ৩৫ থেকে ৬৮ শতাংশ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘অ্যাকুওয়েদার’ বলছে, ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সেমিফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এবং তার আগে বৃষ্টির বেশ সম্ভাবনা রয়েছে গায়ানায়। যেখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৩৫ থেকে ৬৮ শতাংশ থাকতে পারে। তবে রিজার্ভ ডে না থাকলেও ফাইনালিস্ট নির্ধারণে কিছু নিয়ম করেছে আইসিসি।
বৃষ্টির কারণে খেলায় বিঘ্ন সৃষ্টি হলে ফলাফলের জন্য প্রতিটি দলকে ন্যূনতম অন্তত ৫ ওভার করে খেলতে হয়। যা বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট রাউন্ডে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য সেটি হবে ১০ ওভারে। অর্থাৎ বৃষ্টি বাগড়া দিলেও টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত ম্যাচ তিনটিতে ন্যূনতম ১০ ওভারের খেলা সম্পন্ন হতে হবে। নির্দিষ্ট ওভারের খেলা সম্পন্ন হলে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা হবে ডিএলএস পদ্ধতিতে।
ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের ফল বের করতে নির্ধারিত সময়ের বাইরে ২৫০ মিনিট বাড়তি সময় রাখা হয়েছে। বাড়তি সময়েও ম্যাচ শেষ না করা গেলে সুপার এইটে পর্বে এগিয়ে থাকায় ভারত চলে যাবে ফাইনালে। কারণ, ম্যাচ না হলে আগের রাউন্ডের পয়েন্ট হিসাব করা হবে। ভারত সুপার এইট খেলেছে এক নম্বর গ্রুপ থেকে। যেখানে তিনটি ম্যাচ জিতেই শীর্ষে ছিলেন রোহিত-কোহলিরা, আর ইংল্যান্ড সুপার এইটে দুই নম্বর গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়ে সেমিতে ওঠে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সেমিফাইনাল বাতিল হলে সুপার এইটের শীর্ষে থাকা দল সরাসরি ফাইনালে ওঠে যাবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট