রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রোর অফিসের একাংশ ভেঙে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান।
ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, স্থাপনার মালিক অন্য একজন, সাদিক অ্যাগ্রো নয়। ওই মালিককে আমরা বারবার নোটিশ করেছি কিন্তু তিনি শুনেননি। খালের ওপর স্থাপনা পাওয়া যায়নি। তবে আইন অনুযায়ী খাল থেকে ৩০ ফিট দূরে থাকতে হবে স্থাপনা। এখানে আইন মানা হয়নি। তাই সাদিক অ্যাগ্রোর খামারের অফিসের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, মোহাম্মদপুরে যে স্থাপনাতে গরুর খামার করা হয়েছে সেটি ভাড়া নিয়ে করা হয়েছে। খাল দখলের সঙ্গে সাদিক অ্যাগ্রো জড়িত নয়। অন্যের নির্মিত স্থাপনায় গরুর খামার করা হয়েছে। এখানে এরকম আরও অনেক স্থাপনা আছে। সিটি করপোরেশন এখন পর্যন্ত সাদিক অ্যাগ্রোকে এ বিষয়ে কখনোই কোনো নোটিশ করেনি।
জানা যায়, অভিযানে সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়াও বেশ কিছু অস্থায়ী স্থাপনা এখানে গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও উচ্ছেদ করছে ডিএনসিসি। দখলের কারণে মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল নালাতে পরিণত হয়েছে।
সাদিক এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন বলেন, আমি এই জমির মালিক না, একজন ভাড়াটিয়া। তাই উচ্ছেদ অভিযানে আমার কিছু যায় আসে না।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন যে জায়গাটা খাল বলে দাবি করছে, সেটির মালিক আমি না। জমির মালিক তার জায়গায় স্থাপনা করেছেন, আমি নিচতলা ভাড়া নিয়েছি। মালিক নিজেই দ্বিতীয়তলায় থাকেন। খাল ভরাটসহ যা কিছু বলা হচ্ছে সবই মালিকের করা। আমার কিছুই না।
খামারটির মালিক বলেন, আমি যে ভাড়া নিয়েছি এটার ডিড (চুক্তি) আমার কাছে আছে। তাই আমি এটার মালিক… বললেই হবে না। আমি খালসহ ভাড়া নেইনি।
অভিযানে ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পরিচ্ছন্নতা কর্মী অংশ নেন। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত ছিল।
পূর্ববর্তী পোস্ট