ইসরাইলের চিফ অফ স্টাফের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রাম আমিনাচ জানিয়েছেন, রকেট সম্ভারের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানির পরই হিজবুল্লাহকে পাঁচটি পরাশক্তির একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি জানান, পুরো শক্তি ছাড়া ইসরাইলের পক্ষে হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। রকেট চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ নিয়ে তাই ইসরাইলের রাজনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের কঠিন সব মতবিরোধ। খবর আল মায়াদিন নিউজের।
ইসরাইলি জনগণ হিজবুল্লাহর হুমকির পরিমাণ বুঝতে পারে না। কারণ এই সামরিক গোষ্ঠীর কাছে রয়েছে রকেটের বিশাল এক মজুদ, যা নিয়ে ঘুম নেই সমর কর্তাদেরও। সম্প্রতি লেবাননের গ্র্যান্ড শিয়া মুফতি শেখ আহমাদ কাবালান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করা হলে ইসরাইল অভিমুখে পাঁচ লাখ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে হিজবুল্লাহ।
তার এই হুঁশিয়ারি যে নিছক কোনো বুলি ছিল না তা এখন প্রমাণ- একটি মার্কিন গবেষণা বলছে, পশ্চিমাদের ধারণা হিজবুল্লাহর কাছে পাঁচ লাখের বেশি রকেটের পাশাপাশি ড্রোনেরও বিশাল সম্ভার রয়েছে। ইসরাইলের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহারোনট এক প্রতিবেদনে বলেছে, লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মজুতে অত্যন্ত বিপজ্জনক সামরিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি রয়েছে।
অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহারে এই গোষ্ঠীর যোদ্ধারা বিশ্বসেরা। ইসরাইলি সরকার এমন এক শত্রুর মুখোমুখি হচ্ছে, যাদের উচ্চ সামরিক সক্ষমতা আছে এবং অস্ত্রাগারে উন্নত মিসাইল ও ড্রোনের মতো বিপজ্জনক সরঞ্জাম রয়েছে। এরইমধ্যে ইসরাইলি বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থাপনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ।
এতে প্রমাণ হয়, আটঘাট বেঁধেই রণক্ষেত্রে নেমেছে হিজবুল্লাহ। আরবের প্রখ্যাত রাজনৈতিক ভাষ্যকার আব্দুল বারি আতওয়ান বলেছেন, ইসরাইল লেবাননের বিরুদ্ধে কোনো রকম কাপুরুষতা দেখানোর চেষ্টা করলে হিজবুল্লাহ তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে। গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে ইসরাইল যে নারকীয় হামলা শুরু করেছিল তা থেকেই এখন পর্যন্ত কিছুই অর্জন করতে পারেনি দেশটি।
পূর্ববর্তী পোস্ট