ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে আজ প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও দুবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার হাতছানি স্পেনের সামনে। সর্বোচ্চ ছয়বার ফাইনালে খেলার রেকর্ডটি জার্মানির। ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালে শিরোপা জিতেছে স্পেন। ১৯৮৪ সালের ফাইনালে হেরেছে ফ্রান্সের কাছে। অন্যদিকে ফ্রান্স ইউরোপিয়ান মুকুট জয় করে ১৯৮৪ সালে মিশেল প্লাতিনির হাত ধরে ও ২০০০ সালে জিনেদিন জিদানের হাত ধরে।
ফুটবলপ্রেমিরা মনে করছেন, মিউনিখে আজ ফ্রান্স-স্পেন লড়াই উত্তাপ ছড়াবে। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের দল দুটি তারকায় ঠাসা। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে সবগুলো ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে স্পেন। তবে স্পেনের তারকাখচিত মিডফিল্ড ও আক্রমণ ভাগকে চিন্তায় ফেলে দিতে তৈরি আছে ফরাসি রক্ষণভাগ। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই তাদের গোলবার ছিল অক্ষত। অনবদ্য পারফর্ম করে চলেছেন ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মিগনান। এখন পর্যন্ত শতকরা ৯৪ শতাংশ বল ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি, যা চলতি আসরে সর্বোচ্চ। এছাড়া ২০১২ আসরে স্পেনের ইকার ক্যাসিয়ারের (৯৪ শতাংশ) পর এটাই ইউরোতে সেরা।
বিপাকে স্পেন
ইউরোপিয়ান চ্যম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ তিন খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না স্পেন। তারা হলেন পেদ্রি, দানি কারভাহাল ও রবিন লে নরমান্ড।
জার্মানির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে সপ্তম মিনিটে হাঁটুতে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন পেদ্রি। টনি ক্রুসের ট্যাকলে মারাত্নকভাবে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন বার্সেলোনার তরুণ এই মিডফিল্ডার। শুধু সেমি ফাইনাল নয়, পুরো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। স্পেন ফাইনালে উঠলেও দেখা যাবে না তাকে।
একই ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন না রিয়াল মাদ্রিদের রাইট ব্যাক কারভাহালও। জার্মানির বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা সময়ে ১২৬তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডসহ লাল কার্ড দেওয়া হয়েছিল তাকে। ফলে সেমিফাইনালে তাকেও দর্শক হয়ে থাকতে হবে।
হলুদ কার্ড জটিলতায় সেমিতে খেলতে পারবেন না রবিন লে নরমান্ডও। জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচের ২৯তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি।
এটি ছিল চলতি ইউরোতে তার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। ফলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তিনি।
পিএসজির মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইজকে নিয়েও রয়েছে সংশয়। রুইজ খেলতে না পারলে তার জায়গায় সুযোগ মিলতে পারে জার্মানির বিপক্ষে অন্তিম মুহুর্তে গোল করা রিয়াল সোসিয়েদাদের মিডফিল্ডার মেরিনোর।
পূর্ববর্তী পোস্ট