মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে যখন ফাইনালের বাঁশি বাজাবেন ব্রাজিলিয়ান রেফারি রাফায়েল ক্লাউস তখনই বিদায়ের রাগিনি বাজবে আনহেল দি মারিয়ার। দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্যারিয়ারের শেষের শুরু হবে তার।
২০০৮ সালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামার দিন শুরুর একাদশেই ছিলেন দি মারিয়া। কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে শুরুর একাদশে সুযোগ পেলে শুরু এবং শেষটা মিলে যাবে তার।
সেই সুযোগটা কি আগামীকাল পাবেন দি মারিয়া?
মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও একাদশের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন দি মারিয়া। তবে এখন ক্যারিয়ার গোধূলিলগ্নে পৌঁছায় আর আগের মতো পারফরম্যান্স করতে না পারায় তার জায়গাটা নতুনরাই নিয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সে আবার চোটও সঙ্গী হয়েছে। তাই এবারের টুর্নামেন্টে কখনো শুরুর একাদশে, আবার কখনো বদলি হয়ে তাকে মাঠে নামতে হচ্ছে।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তো আবার বেঞ্চে বসেই সময় কাটাতে হয়েছে। এবার ফাইনালে কি হয় সেটা আগামীকালই জানা যাবে।
তবে আর্জেন্টিনার বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনাল ম্যাচে যেহেতু শুরুর একাদশেই ছিলেন দি মারিয়া তাই আশা করা যাচ্ছে ফাইনালেও থাকবেন তিনি।
তবে একাদশ সাজানোর ক্ষেত্রে একক ক্ষমতার অধিকারী যিনি সেই লিওনেল স্কালোনি অবশ্য সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যাচেস্টার ইউনাইটেডের উইঙ্গারের একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে স্পষ্ট কোনো কিছু জানাননি।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে কোচ স্কালোনি বলেছেন,‘যদিও আমরা জানি, এটা দি মারিয়ার শেষ ম্যাচ, তবে সব সময় দল সবার আগে। আমরা যদি মনে করি তাকে প্রয়োজন, তাহলে সে খেলবে। যদি শেষদিকে আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে তার প্রয়োজন নেই তাহলে বুঝতে হবে আমরা ভিন্নভাবে ভেবেছি। কোচ হিসেবে আমাদের ম্যাচ সম্পর্কে ভাবাটা জরুরি।
কারণ অনেকগুলো কন্ডিশন থাকে। আশা করছি সব যেন ঠিকঠাক মতো হয়, সেরা উপায়েই যেন অবসর নিতে পারে দি মারিয়া।’
স্কালোনি আরো বলেন,‘ম্যাচ বিবেচনা করেই আমরা সব সময় শুরুর একাদশ সাজাই। ইকুয়েডরের বিপক্ষে আনহেল শুরুর একাদশে ছিল না, এমনকি বদলিও নামেনি। এটিও তার শেষ ম্যাচ হতে পারত। সিদ্ধান্ত সঠিক না ভুল ছিল জানি না। তবে আমরা ভেবেছিলাম ম্যাচে তার প্রয়োজন নেই। দিন শেষ সবকিছু ভালোভাবেই শেষ হয়েছে। সেমিফাইনালে সে খেলার সুযোগ পেয়েছে। ফাইনালেও খেলতে পারে।’
পূর্ববর্তী পোস্ট