সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিসের পরিচালক কিমবার্লি চিটল।
কিমবার্লি চিটল ২০২২ সালের আগস্ট থেকে সিক্রেট সার্ভিসের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার পর থেকে তার পদত্যাগের দাবি ক্রমেই জোরদার হচ্ছিল।
এছাড়া কঠোর নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে একজন বন্দুকধারী কিভাবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর কাছে পৌঁছে গেল, সে প্রশ্ন সামনে একাধিক তদন্ত চলছে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) পদত্যাগের ঘোষণা দেন কিমবার্লি চিটল। এপির প্রতিবেদন মতে, সিক্রেট সার্ভিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে এক ইমেইল বার্তায় তিনি বলেছেন, `নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটির জন্য সব দায়ভার আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি আপনাদের পরিচালক হিসেবে পদত্যাগের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (২২ জুলাই) সকালে মার্কিন কংগ্রেসে সাক্ষ্য দেন সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর কিমবার্লি। এ সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে বন্দুকধারীর হামলার বিষয়ে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে না পারায় নিজের ওপর সব দায় নেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন মতে, ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় ৬ ঘণ্টা ধরে সিক্রেট সার্ভিস প্রধানে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তাদের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।
রয়টার্সের এক ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দুকধারীর হামলার পরপরই সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা ট্রাম্পকে ঘিরে ধরেন। এর একটু পরই তাকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। তখন তার ডান কান থেকে রক্ত ঝরছিল; মুখমণ্ডলেও ছিল রক্ত।
সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা। এ সময় ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে বলে ওঠেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট!’ পরে পাশেই একটি গাড়িতে নিয়ে তোলা হয় ট্রাম্পকে। সেখান থেকে নেয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
ওই হামলায় ট্র্রাম্প প্রাণে বেঁচে গেলেও দর্শক সারিতে থাকা একজন নিহত ও আরও দুজন গুরুতর আহত হন। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের পাল্টা গুলিতে নিহত হন সন্দেহভাজন হামলাকারীও।
পূর্ববর্তী পোস্ট