কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরো এক সমন্বয়ক ও বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষককে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তারা হলেন- নুসরাত তাবাসসুম ও শিক্ষক আসিফ মাহতাব। নুসরাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তিনি।
রবিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে নুসরাত, আসিফসহ পাঁচজনকে ডিবির হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদের পরিবারকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
জানা যায়, নুসরাত তাবাসসুমকে আজ ভোরে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়। অন্যদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফকে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন-সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদেরও নিরাপত্তার কারণে হেফাজতে নেয়া হয় বলে গত শুক্রবার রাতে ডিবি জানায়। ডিবির হেফাজতে থাকা এই পাঁচ সমন্বয়কই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোটাসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ককে তাদের নিরাপত্তার জন্যই হাসপাতাল থেকে গোয়েন্দা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কারা তাদের আক্রমণ করতে চায়– সেই বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুব শিগগিরই আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাব।
পূর্ববর্তী পোস্ট