ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে তার বাসস্থানে জায়নবাদী গুপ্ত হামলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তারা।
এ ঘটনায় আজ বুধবার রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ সংস্থাকে একজন উপ-রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘হামাস নেতার হত্যাকাণ্ড একটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক হত্যা।’
আরআইএ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এবং এটি উত্তেজনাকে আরো বৃদ্ধি করবে।
৫৮ বছর বয়সী ইসমাইল হানিয়াহ হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ২০০৬ সালের ফিলিস্তিনি সংসদ নির্বাচনে হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হানিয়া। ওই নির্বাচনে তারা প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ পার্টিকে পরাজিত করে।
মৃত্যুর আগের দিন মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন।
তিনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গেও দেখা করেন। চলতি বছর পুনঃনির্বাচিত হওয়া হানিয়েহ হামাসের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন।
ওই সাক্ষাতে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের আন্দোলনের প্রতি অটল সমর্থন প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শেষ পর্যন্ত ‘চূড়ান্ত বিজয়’ আনবে বলে তার বিশ্বাস।
পেজেশকিয়ান ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের প্রতি ইরানি জনগণের ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে বলেন, এটা ইসলামী বিপ্লবের আগের সময় থেকে চলে আসছে। তিনি বলেন, ‘যে কোনও ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে, ইহুদিদের নিষ্ঠুর অপরাধগুলো সব মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে ঘৃণা উদ্রেক করে।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং যোদ্ধাদের সাহসী প্রতিরোধে আমরা গর্বিত এবং এটা সম্মানের উৎস। তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এই সংগ্রাম শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের মুক্তি এবং ইসরায়েলি শাসনের পতন ঘটাবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট