আকাশে রহস্যময় ঘটনার জন্য আলাস্কার পরিচিতি অনেক। মেরুজ্যোতি বা নর্দার্ন লাইট দেখার জন্য অন্যতম সেরা জায়গা হিসেবে ধরা হয় আলাস্কাকেই। সেখানে গত শনিবার রাতে একটি রহস্যময় ছবি দেখা গেছে।
প্যাঁচানো অদ্ভুত গঠনের ওই বস্তু আলাস্কার আকাশে দেখেছেন আলোকচিত্রী টোড সালাট। তিনি আকাশের ছবি তোলার সময় মনোরম প্রাকৃতিক ওই দৃশ্য দেখেছেন। অনেকে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেছেন। মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, একজন আলোকচিত্রী শনিবার রাতের আকাশে একটি অস্বাভাবিক ঘটনার ছবি তুলেছেন। উজ্জ্বল সর্পিল ওই বস্তু মেরুপ্রভা বা অরোরা দ্বারা বেষ্টিত ছিল।
টোড সালাট বলেছেন, ‘উত্তর দিগন্ত থেকে আমার দিকে আসা দূরবর্তী উজ্জ্বল আলোটি যখন আমি প্রথম দেখলাম, অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছিলাম।’ টোড সালাট ডেইলি নিউজকে বলেছেন, এটি বড় হয়ে উঠছিল। আকাশে এটি সুন্দর একটি শিল্পকর্ম। ঠিক পাঁচ মিনিট পরে সরাসরি ওপরে উঠছিল বস্তুটি। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আসলে কী ছিল, তা নিয়ে আমার কোনো ধারণাই নেই। আমি বলব যে এটি আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে উদ্ভট জিনিস।’
আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডন হ্যাম্পটন বলেন, আকাশের ‘অদ্ভুত জিনিস’টি মানবসৃষ্ট হতে পারে। আসলে ফ্যালকন-৯ রকেট উৎক্ষেপণের কারণেও ওই প্যাঁচানো আকারটি দেখা গিয়ে থাকতে পারে।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেটটি ট্রান্সপোর্টার-৭ মিশন থেকে ছোড়ার তিন ঘণ্টা পরে মেরু কক্ষপথে ওই ছবি ধরা পড়ে। মহাকাশযানটি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।
তবে এই প্রথম এমন সর্পিল আকারের বস্তু রাতের আকাশে দেখা গেল, ব্যাপারটি এমন নয়; গত ১৮ জানুয়ারি ভোরবেলা আকাশে এমন এক বস্তু দেখা গিয়েছিল।
পূর্ববর্তী পোস্ট