ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আট মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দীর্ঘ এ অভিযানে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি দেশটি। ফলে ভেতরে বাইরে এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের ভেতরে ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা করেছেন নেতানিয়াহুর স্ত্রী।
বুধবার (২৬ জুন) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নেতানিয়াহুর স্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে নেতানিয়াহুকে সরাতে ইসরায়েলের সেনা কর্মকর্তারা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করছেন। দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের সময় এমন অভিযোগ করেন তিনি। নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী আমার স্বামীর বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটাতে চাইছে।
সারা নেতানিয়াহু এমন অভিযোগ করলে কতিপয় পরিবার তাকে বাধা দেয়। তারা বলেন, সামরিক বাহিনীকে তিনি অবিশ্বাস করতে পারেন না। এ সময় নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেন সারা। তিনি বলেন, সমগ্র আইডিএফ নয়, বরং সেনাবাহিনীর কিছু সিনিয়র সদস্যদের জন্য তার এ বক্তব্য প্রযোজ্য। সেনাবাহিনী একটি অভ্যুত্থান মঞ্চস্থ করতে চায় বলেও একাধিকবার জোর দেন তিনি।
কেবল নেতানিয়াহুর স্ত্রী নন, তার ছেলেও সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। চলতি মাসে গত ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলায় সামরিক এবং নিরাপত্তা পরিষেবা শিন বেতকে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য অভিযুক্ত করেন।
গত ১৭ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি বলেন, তারা কি আড়াল করার চেষ্টা করছেন? বিশ্বাসঘাতকতা না হলে কী ঘটছে তা নিয়ে বহিরাগত ও স্বাধীন দলগুলোর তদন্তকে তারা কেন ভয় পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধানরা কেন দাবি করেন যে, হামাসকে নিবৃত্ত করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবরের হামলার সময়ে বিমানবাহিনী কোথায় ছিল?
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। সম্প্রতি এ হামলা ঠেকাতে না পারায় ইসরায়েলের সামরিক, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক নেতারা ব্যর্থতার দায় নিয়েছেন। তবে এ হামলার দায় স্বীকার করতে রাজি নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
পূর্ববর্তী পোস্ট