পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গতকাল রাতে যে ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তা রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই দেশে রাজাকারের পক্ষে স্লোগান, এটি রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান। এটি সরকারবিরোধী নয়, এটি রাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান। একইসঙ্গে সেখানে সরকারবিরোধী, প্রধানমন্ত্রীবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছে। আমরা আগেই বলেছিলাম, কোটা আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে, তা স্পষ্ট।’পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সরকার অনেক শক্তিশালী, আমরা দেশকে কখনো অস্থিতিশীল করতে দেব না।
সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা ঢুকেছে। তাদের পরিকল্পিত কিছু মানুষ সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা যেটি বলেছিলাম সেটি তারা গতকাল স্পষ্ট করেছে। এটি আসলে কালকের স্লোগান এবং কালকের যে সমস্ত ঔদ্ধত্বপূর্ণ স্লোগান এবং বক্তব্য, এতে প্রমাণিত হয় এটি কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়। এটি রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রুপ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কতিপয় নেতা এবং বাইরে থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যরা সেখানে ইন্ধন দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার স্পষ্ট করে বলেছে আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আদালতে এটি নিষ্পত্তি হওয়ার পর আদালত যেভাবে নিষ্পত্তি করবে সরকারকে সেভাবে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে, এটি স্পষ্ট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা সংবিধান জানে, দেশের আইন জানে, আপনারা সবাই জানেন- এটি স্পষ্ট। এরপরও এ ধরনের স্লোগান দেওয়া এবং আন্দোলন করা এবং কালকের স্লোগান, কালকের বক্তব্য একেবারে দিবালোকের মতো স্পষ্ট করে দিয়েছে এটির মধ্যে রাজনীতি ঢুকেছে।
তিনি বলেন, রাজনীতিকদের রাজনৈতিক অপশক্তির পরিকল্পনামাফিক কিছু ব্যক্তিবিশেষ এখানে যে নেতৃত্ব দিচ্ছে, ইন্ধন দিচ্ছে সেটি গতকাল স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দেশকে কখনো অস্থিতিশীল করতে দেব না। আমাদের সরকার অনেক শক্তিশালী সরকার। আমরা কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেব না।
পূর্ববর্তী পোস্ট