Home » ইংল্যান্ডের হৃদয় ভেঙে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন

ইংল্যান্ডের হৃদয় ভেঙে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন

0 মন্তব্য 47 ভিউজ

ফাইনালের প্রথমার্ধে আলাদা করা গেল না স্পেন ও ইংল্যান্ডকে। দুই দলই লড়ল সমান তালে। মধ্যবিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে গেল স্পেন। আরও একবার ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড।
তাতে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ের পথে এগোলেও শেষ মুহূর্তে স্পেন পেয়ে গেল কাঙ্ক্ষিত সেই গোল। তাতে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে চতুর্থ ইউরো ঘরে তুলল স্পেন। ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতল স্প্যানিশরা।
বার্লিনে শুরু থেকেই উইং ব্যবহার করে ইংলিশ রক্ষণে হানা দেয়ার চেষ্টা করে স্পেন।
লেফট উইংয়ে নিকো উইলিয়ামস গতি দিয়ে পরাস্ত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কাইল ওয়াকারও ছিলেন সতর্ক।
একটু পরেই পর পর দুটি আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু জুড বেলিংহাম- ফিল ফোডেনরা প্রতিপক্ষের বক্সে গিয়ে খেই হারিয়েছেন।
এরপর খেলার নিয়ন্ত্রণ নেয় স্প্যানিশরা। তবে জন স্টোনস, লুক শ’রা ছিলেন সিদ্ধহস্ত। লামিন ইয়ামাল-মোরাতাদের সেভাবে সুযোগ দেয়নি। যোগ করা সময়ে ফোডেনের শট উনাই সিমন আটকে দিলে প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইংল্যান্ডও।
মধ্য বিরতি থেকে ফেরার দুই মিনিটের মধ্যে ইয়ামাল-উইলিয়ামস রসায়নে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে স্পেন।
ইয়ামালের বাড়ানো পাস পেয়ে নিখুঁত ফিনিশিং করেন নিকো উইলিয়ামস। একটু পরই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন দানি ওলমো। বক্সের ভেতর থেকে তার নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এরপর স্পেনের আক্রমণের ঢেউয়ে ভেসে যেতে থাকে ইংল্যান্ড। ৫৬ মিনিটে উইলিয়ামসের গতির শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। আক্রমণভাগে নিষ্প্রভ থাকায় ৬০ মিনিটে হ্যারি কেইনকে তুলে ওলি ওয়াটকিন্সকে নামান ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।
৬৬ মিনিটে দারুণ সুযোগ আসে ইয়ামালের সামনের কিন্তু তার বাঁকানো শট ঝাপিয়ে ফেরান পিকফোর্ড। একটু পরেই মাইনোর বদলি নামেন কোল পালমার। আর মাঠে নেমেই ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান এই তরুণ। ডান দিক দিয়ে অনেকটা দৌড়ে বল নিয়ে আক্রমণে ওঠেন বুকায়ো সাকা, তার পাস বক্সের ভেতর বেলিংহাম পা ঘুরে পালমার পেয়ে বক্সের ওপর থেকে দারুণ শটে বল পাঠান জালে। এরপর জমে ওঠে ম্যাচ।
৮২ মিনিটে অবিশ্বাস্য সুযোগ নষ্ট করেন ইয়ামাল। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি৷ তার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন পিকফোর্ড। চার মিনিট পর মিকেল ইয়ারজাবাল আর কোনো ভুল করেনি। কুকুয়েরার ক্রস অফসাইড ফাঁদ ভেঙে স্লাইডিং শটে জাল খুঁজে নেন বদলি নামা ইয়ারজাবাল। পিছিয়ে পরে গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালায় ইংল্যান্ড। ৮৯ মিনিটে পর পর দুটি আক্রমণ করেও কপাল খুলেনি। গোল লাইন ক্লিয়ারেন্স করেন দানি ওলমো। আর তাতেই ইউরোর চতুর্থ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় স্পেনের।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.