আন্দোলনের সময়কার সহিংসতায় দেশের অবর্ণনীয় ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সমুদ্র বাণিজ্য ও বন্দর কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নৌবাহিনী। একই সঙ্গে বন্দর, টানেলসহ সরকারি স্থাপনা রক্ষায় নৌবাহিনীর সদস্যদের কঠোর নজরদারি আরো বাড়ানো হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এ কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলসহ বন্দর ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানির বেশির ভাগ পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই বন্দরের পণ্য ওঠানামা কার্যক্রম যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে সে জন্য নৌবাহিনী কাজ করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী সেনাবাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরাপত্তা রক্ষার কাজ করে চলেছে। আমরা বাংলাদেশের বন্দরসমূহ, ইস্টার্ন রিফাইনারি, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েল কম্পানি, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ উপকূলবর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর।
নৌবাহিনী প্রধান আরো বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের পর দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কিছু দুষ্কৃতকারী প্রবেশ করে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। এটা কোনো দেশপ্রেমিক নাগরিকের কাজ হতে পারে না।
এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যাতে ভবিষ্যতে না হয় সে জন্য নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট