কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে টানা তিনদিনের সাধারণ ছুটির পর আজ চালু হয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। অফিস শুরুর দিনে সকাল থেকে ঢাকার সড়কে গণপরিবহনের তীব্র সংকট দেখা গেছে।
যানজটের নগরী ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল মেট্রোরেল। তবে দুবৃর্ত্তদের তাণ্ডবে সাময়িকভাবে সেই আশীর্বাদ থেকে আপাতত বঞ্চিত নগরবাসী।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তারা হামলা চালিয়েছে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনে।
আর এই প্রেক্ষাপটে জরুরি মেরামতের প্রয়োজনে এবং জনগণের জানমালের নিরপত্তার স্বার্থে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
মেট্রোরেল চালু হওয়ার বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু করতে পারবো আমরা এখনই বলতে পারছি না। মেট্রোরেল চালু হওয়ার বিষয়ে কথা বলার সময়ও এখনও আসেনি।’
গত কয়েক দিনের বন্দিদশা থেকে বের হয়ে কাজে যোগ দিতে পারায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু গণপরিবহণে দেখা গেছে যাত্রীদের চাপ। রাস্তায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক যানজট।
এদিকে, রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোও আজ থেকে খুলেছে। পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট চালু হয়েছে। রাজধানীতে অফিসগামী মানুষ ও যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট