বিতর্কিত হারের ঘটনায় ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জনপ্রিয় ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আর্জেন্টিনা ও মরক্কো ম্যাচের পর ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে এএফএ।
এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ তাপিয়া এক্সে লিখেছেন, ‘সেঁত এতিয়েনে আর্জেন্টাইনরা যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেল, সেটা আক্ষেপের বিষয়। দুই ঘণ্টা লকার রুমে অপেক্ষা করে ফুটবলারদের মাঠে যাওয়া, অনুশীলনকরে আবার এমন একটা ম্যাচ শুরু করা, যেটি মরক্কো–সমর্থকদের মাঠে ঢোকার কারণে রেফারির খেলা স্থগিত করা উচিত ছিল। সহিংসতার কারণে আর্জেন্টাইন প্রতিনিধিরা ভুগেছে, এর কোনো মানেই হয় না। এটা টুর্নামেন্টের নিয়মের বরখেলাপ।’
তাপিয়া আরও লেখেন, ‘দুই দলের অধিনায়ক চেয়েছিল ম্যাচটা যাতে আর মাঠে না গড়ায়। কিন্তু তাদের মতামত শোনা হয়নি। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা এরই মধ্যে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছি, যেন যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়, যারা দায়ী তাদের যেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।’
এর আগে, বুধবার (২৪ জুলাই) ম্যাচের শেষ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান মেদিনার গোল থেকে ২-২ এ সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। কিন্তু ম্যাচ বন্ধ হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর জানা যায়, অফসাইডে বাতিল হয়ে গেছে সেই গোল। আর এর পরিবর্তে খেলা হবে আরও অতিরিক্ত ৩ মিনিট। দুই দলই স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় আরেকবার মাঠে নামে ৩ মিনিটের খেলা শেষ করতে। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে আর গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা। ফলে ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় মরক্কো।
এ ঘটনায় আয়োজকদের ধুয়ে দেন আর্জেন্টিনার কোচ মাচেরানোও, ‘এমন ঘটনা পাড়ার টুর্নামেন্টেও ঘটে না। এটা লজ্জার এবং অলিম্পিকের চেতনাবিরোধী। এই সংস্থাকে মানসম্মত হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মুহূর্তে তারা সেটি হতে পারেনি। আমার জীবনে দেখা এটাই সবচেয়ে বড় সার্কাস।’
এদিকে দলের এমন হারের পর বিস্মিত লিওনেল মেসি। ম্যাচ হারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর্জেন্টাইন এই অধিনায়কের মন্তব্য, ‘অবিশ্বাস্য’।
© 2022 More Than News All rights reserved.