কাসাভা অনেকের কাছে অপরিচিত হলেও ‘শিমুল আলুথ নামে বেশ পরিচিত। দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে বহু বছর ধরে অনেকটা অবহেলায় চাষ হওয়া এ জাতীয় উদ্ভিদটি এখন বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অথর্করী ফসল। দেশের শিল্পখাতে স্থায়ীয় কাসাভার ব্যবহার ও চাহিদা বাড়ছে। ফলে এর উৎপাদনেও এগিয়ে এসেছে শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা। গত বছরে দেশে এই সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বতর্মানে দেশে এই পণ্যের চাহিদার মাত্র ২ শতাংশ উৎপাদিত হয়। আর বাকিটুকু থাইল্যান্ড, ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করতে হয়।
জানা যায়, শিমুল আলু একটি শিকড় জাতীয় ফসল। এতে রয়েছে প্রচুর শর্করা উপাদান। যার রয়েছে বহুবিধ ব্যবহারও। তাছাড়া সিদ্ধ করেও সরাসরি খাওয়া যায়। তবে বাণিজ্যিক মহলে সম্ভাবনাময় এই ফসলের কদর ক্রমাগত বাড়ছে। এটি চাষে মূলধন দিচ্ছেন পাইকারী ঔষধ উৎপাদনকারী বিভিন্ন কোম্পানি। পরবর্তীতে ক্ষেত থেকেই আলু কিনে নিচ্ছেন তারা।
কাসাভা স্টার্চ টেক্সাটাইল, ওষুধ ও রসায়ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সিমেন্টের গুণগত মানোন্নয়ন, কাগজ, আঠা, প্রসাধন, রাবার ও সাবান শিল্পে ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে স্টার্চ, মল্টোজ, লিকুইড, গ্লুকোজসহ অন্যান্য রূপান্তরিত চিনি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই সমরাস্ত্র কারখানায় বুলেট ডিটোনেশন কাজে ব্যবহৃত মোমবিহীন চাঁচ- যা আমদানি করতে প্রতি বছর সরকারের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। অথচ কাসাভার স্টার্চ এই কাজেও ব্যবহার করা যায়।
আবেদালী গ্রামের কৃষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, চলতি বছর দুই একর জমিতে শিমুল আলু চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে, বাজার ভালো হলে প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।