এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশযান ‘মেগা মুন রকেট’ চাঁদে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আগামী সোমবার আর্টেমিস-১ মিশনের এই মহাকাশযানটির পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করবে নাসা। এর মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত মানুষ নিকটতম প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলো এবং মঙ্গল গ্রহেও যেতে পারবে।
২০ বিলিয়ন ডলারের রকেটটি ৩০ তলা স্পেস লঞ্চ সিস্টেম এবং ওরিয়ন ক্যাপসুলের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড ৩৯বি থেকে আগামী সোমবার সকালে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। নাসা টেলিভিশনের মাধ্যমে উৎক্ষেপণের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এ ছাড়া নাসার মোবাইল অ্যাপ এবং তাদের ওয়েবসাইটেও অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৩৩ মিনিটের মধ্যে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
আর্টেমিস-১-এর পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো পর্যবেক্ষণ এবং পরিবর্তন করবেন। পরবর্তী সময়ে একজন নভোচারীসহ ২০২৪ সালে আর্টেমিস-২ মিশন পরিচালনা করা হবে। আর ২০২৫ সালে আর্টেমিস-৩ মিশনের মাধ্যমে একজন নারী এবং একজন পুরুষ চাঁদে অবতরণ করবেন। মঙ্গল গ্রহে মানুষ পৌঁছানোর উদ্দেশে মহড়া হিসেবে নাসা এই মিশনগুলো চালাবে।
চাঁদের বাইরে ৬৪ হাজার কিলোমিটার ঘুরে রকেটটি ১০ অক্টোবর পৃথিবীতে ফেরত আসবে। মহাকাশযানটি শব্দের গতির ৩২ গুণ গতিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে নাটকীয়ভাবে ফিরে আসবে। চরম বায়ু ঘর্ষণ এবং প্যারাশুটের কারণে মহাকাশযানটি ঘণ্টায় মাত্র ২০ মাইল গতিতে মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে পতিত হবে।