তবে লন্ডনের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে হলে আগে পার হতে হয় প্রাথমিক পর্ব। পর্বটির নাম ‘টিনইগল অনলাইন’। সারা পৃথিবী থেকে অনলাইনে এই পর্বে অংশ নেয় অনেক শিক্ষার্থী। অনলাইন প্রতিযোগিতায় শিশুকিশোর উপযোগী একটি বই ও একটি চলচ্চিত্র নির্ধারিত থাকে। নির্ধারিত বই ও চলচ্চিত্র থেকে ৫০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় এক ঘণ্টায়। চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে ৮০ শতাংশ নম্বর প্রয়োজন। গ্লোবাল ফাইনালসে চার দিন চার বিষয়ে এক ঘণ্টা করে পরীক্ষা হয়।
স্কলাস্টিকা স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড নাইনের শিক্ষার্থী নাহিয়ান মাহজাবীন ‘টিনইগল’ প্রতিযোগিতার খোঁজ পায় স্কুল থেকেই। প্রতিযোগিতার জন্য নির্ধারিত বইটি তার আগেই পড়া ছিল। তাই বেশ আগ্রহ নিয়েই সে অনলাইনে প্রাথমিক পর্বে অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে প্রয়োজন ছিল ৮০ শতাংশ নম্বর। প্রাথমিক পর্বে ৯০ শতাংশেরও বেশি নম্বর পায় মাহজাবীন, জিতে নেয় স্বর্ণপদক। বাংলাদেশ থেকে মাহজাবীনসহ ছয় শিক্ষার্থীর কাছে আমন্ত্রণ আসে চূড়ান্ত পর্বের, যার নাম ‘গ্লোবাল ফাইনালস’।
স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হতেই চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি নিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে মাহজাবীন। পুরো ছুটিটা সে পড়াশোনা করে কাটিয়ে দেয়। অন্তত একটি পদক জিততেই হবে—এই ছিল তার লক্ষ্য। ধীরে ধীরে ‘গ্লোবাল ফাইনালস’-এর দিনক্ষণ এগিয়ে আসে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ৩০ জুলাই পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে রওনা হয় মাহজাবীন। মা-বাবা সঙ্গে গেলেও, বিমানবন্দর থেকেই মাহজাবীনকে আলাদা হয়ে যেতে হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে আড্ডার সময় সে বলছিল, ‘চূড়ান্ত পর্বের আগে সাত দিন পরিবার ছাড়া থাকতে হয়েছে। এই একটা সপ্তাহ কাটাতে সত্যিই খুব কষ্ট হয়েছে।’ বাকি দিনগুলোয় অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে মাহজাবীন ঘুরে দেখেছে ব্রিটিশ মিউজিয়াম, লন্ডন আই, টাওয়ার ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি জায়গা।