উইনার স্পিরিট এই উপদেশগুলো উৎসর্গ করেছে মূলত ২০–এর কোঠায় যাঁদের বয়স, তাঁদের উদ্দেশে। কিন্তু আপনি যে বয়সেরই হন না কেন, বিষয়গুলো জানা থাকলে তো আর ক্ষতি নেই। বরং কখনো না কখনো কাজে লেগে যেতেই পারে।
১. সম্পদের চেয়ে স্বাস্থ্য বড়। তাই স্বাস্থ্য আর সম্পদ কখনো মুখোমুখি এসে দাঁড়ালে স্বাস্থ্যকে এগিয়ে রাখবেন। আর সবার ওপরে চরিত্র। কথায় বলে, সম্পদ হারালে পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য হারালে কিছুটা পাওয়া যায়। চরিত্র হারালে আর পাওয়া যায় না।
২. শিক্ষা খাতে ব্যয় করুন। ‘আত্মোন্নয়ন’ খাতে ‘বিনিয়োগ’ করুন। আত্মোন্নয়নের বিকল্প নেই।
৩. সব সময় জরুরি পরিস্থিতির জন্য অর্থ জমা রাখুন। ৯১ বছর বয়সী মার্কিন বিজনেস ম্যাগনেট ওয়ারেন বাফেটের মতে, আগে সঞ্চয় করুন। তারপর যেটুকু অবশিষ্ট থাকে, সেখান থেকে ব্যয় করুন।
৪. একাধিক আয়ের উৎস রাখুন। নিদেনপক্ষে একটা বন্ধ হয়ে গেলে কী করবেন, আগেই সেই ব্যবস্থা করে রাখুন।
৫. কারোর সঙ্গে কারোর তুলনা হয় না। তাই নিজেকে বা নিজের সন্তানকে কারোর সঙ্গে তুলনা করবেন না। কেউ কারও মতো নয়। সবাই তাঁর নিজের মতো।
৬. ব্যর্থতা জীবনেরই অংশ। ব্যর্থতাকে মেনে নিন। কোনো মানুষই ব্যর্থতাকে সঙ্গী না করে সফল হননি। তবে হাল ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
৭. সব সময় যে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, তা নয়। তবে আপনার কাজের একটা নিজস্ব গতি থাকতে হবে। আর সব কর্মকাণ্ডের ভেতর সংগতি থাকতে হবে।
৮. আপনার যা কিছু আছে, নিজের চাহিদা তার ভেতরেই সীমাবদ্ধ রাখুন। স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
৯. কখন ‘গিভ আপ’ করতে হয়, এটিও জানুন। কোনো কিছুই সারা জীবন থাকে না। গুড, ব্যাড, আগলি—সবকিছুকেই সহজভাবে নিন।
১০. জীবনে ভালোবাসার প্রয়োজন আছে। ভালোবাসার মানুষদের ঘিরে থাকুন। হারাতে দেবেন না।