বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে কম্বোডিয়ায় ১টি এবং আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নেপাল জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে নেপালে ১টি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করবে। মূলত সেপ্টেম্বরের ‘ফিফা উইন্ডো’কে কাজে লাগিয়ে ম্যাচ খেলে জিতে নিজেদের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের কিঞ্চিৎ উন্নতি সাধন করতে চায় বাংলাদেশ দল।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন মঙ্গলবার ঢাকার উত্তরাস্থ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন দুই ডিফেন্ডার রিমন হোসেন এবং তারিক কাজী।
তারিক কাজী বলেন, ‘ছুটিতে ফিনল্যান্ডে গিয়ে বন্ধু ও পরিবারের সবার সঙ্গে ছুটি কাটিয়েছি। খুবই ভাল লাগছে। আমার বন্ধুরা সবাই বাংলাদেশের প্রতিটি খেলাই দেখে। ছুটি কাটিয়ে এসে আবারও প্র্যাকটিসে যোগ দিয়েছি। সবই রেগুলোর প্রসেস। তিন সপ্তাহের গ্যাপ থাকায় সবার ফিটনেসের মান নেমে গেছে। ফলে আবারও ফিটনেস ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে। আশাকরি ধাপে ধাপে সবই উন্নতি হবে।’ এর আগে আরেক স্প্যানিশ অস্কার ব্রুজোনের অধীনেও জাতীয় দলে খেলেছেন তারিক। নতুন স্প্যানিশ কোচ জাভিয়ের কাবরেরা সঙ্গে তার পার্থক্য কতটা? তারিকের জবাব, ‘দুজনের বেসিক মূলত একই। অনুশীলনের পদ্ধতিও প্রায় সেম।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল
দুজনেই আক্রমণাত্মক ও সুন্দর ফুটবল খেলাতে পছন্দ করেন।’ কাবরেরার অধীনে এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে জাতীয় দলের সর্বশেষ ম্যাচে খেলা হয়নি তারিকের। কারণ ছিল চোট। সেই বিরতির পর আবারও লাল-সবুজ জার্সিতে মানিয়ে নিতে কতটা সক্ষম হবেন? ‘আশাকরি এ নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। কোচিং স্টাফ ও দলের সতীর্থরা সবাই আমাকে অনেক হেল্প করছে। আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি ফিরতে পেরে।’ অনেকেই আক্ষেপ করেছিলেন জামালের মতো আরও কয়েক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফুটবলার পাওয়া গেলে জাতীয় দলের শক্তি আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেত। বাফুফে কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না।
অবশেষে একজনকে পাওয়া যায় ২০১৯ সালে। তবে বাফুফে পায়নি। পায় দেশীয় ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি হয় ১৯ বছর বয়সী (এখন ২২) ফিনল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার তারিক কাজীর। তারিক তখনই খেলে ফেলেছেন ফিনল্যান্ডের অনুর্ধ-১৭, ১৮ ও ১৯ দলে। বাংলাদেশে আসার আগে খেলেন নিজের জন্মস্থান ট্যাম্পেরে শহরের ক্লাব ইলভেস্ ট্যাম্পেরেতে। ফিনল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল ক্লাব এটি। এ ক্লাবের হয়ে ২০১৮ সালে ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বে একটি ম্যাচও খেলেন। ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াতে এই সুযোগটিই নেয় বসুন্ধরা কিংস। কাজীকে ভিড়িয়ে নেয় নিজেদের তাঁবুতে। তারিকের বাবার দেশের বাড়ি নওগাঁয়। এই সূত্রে শৈশব থেকেই সেখানে যাতায়াত আছে তারিকের। এই সুযোগেই তারিকের সন্ধান পায় কিংসরা।
রিমন হোসেন বলেন, ‘আমাদের ফিটনেসে এখনও কিছু ঘাটতি আছে। এ নিয়ে কোচ আমাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের অনুশীলন বেশ ভালই চলছে। আশাকরি আমাদের ফিটনেসে ঘাটতি আর থাকবে না। আমরা সেভাবেই ট্রেনিং করছি। হয়তো ক’দিনের মধ্যেই ফিটনেস ফিরে পাবো।’ রিমন আরও যোগ করেন, ‘প্রথম দিনের প্র্যাকটিসের সঙ্গে আজকের প্র্যাকটিসের মধ্যে ফারাক আছে। অনেকদিন গ্যাপের পর আমরা প্র্যাকটিস শুরু করি। এজন্য প্রথমদিন আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। তারপর যত দিন গেছে, ততই কষ্টের পরিমাণটা কমেছে।
দুবাইয়ে আজ টিকে থাকার লড়াই বাংলাদেশের