সারের মতো ডিজেলেও কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন সারে ভর্তুকি দেই, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম যদি না কমে, ডিজেলেও আমাদের কিছু একটা করতে হবে, যাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে।’
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ে কর্মশালার আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজেলের দাম অনেক বেশি। বৃষ্টি না হলে বোরোর উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে। সরকার গভীরভাবে এটি চিন্তা করছে। আমরা আগে ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতাম। গত অর্থবছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি। এই কয়দিন আগে ইউরিয়া সারের দাম ৬ টাকা বাড়িয়েছি। শুধু একটি কারণেই, কারণ আমরা ইউরিয়ার ব্যবহার কমিয়ে আনতে চাচ্ছি। আমরা এখনো এক কেজিতে ৬০ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছি।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের জন্যে কারও উপর আমরা নির্ভরশীল হতে চাই না। আমরা স্বনির্ভর হবো। খাদ্যের জন্যে যেন হাহাকার না হয়। সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে খাদ্যের জন্যে যেন হাহাকার না হয়। দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো সংকট হবে না।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার নাদরিয়া সিম্পসন। গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সিএসআইআরও বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক আবু সালেহ খান।