রান্নায় ব্যবহার করা মশল্লা শুধু খাবার সুস্বাদুই করে না এগুলোর রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। বেশির ভাগ মসলাই পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে লবঙ্গ এমন একটি মসলা, যা ওজন কমানোর পাশাপাশি ইমিউনিটি বৃদ্ধি, জ্বর ও সর্দি-কাশি সারাতে দারুণ কার্যকর। এটি হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। শুধু লবঙ্গ যেমন ভালো, ঠিক তেমনই লবঙ্গ চা খাওয়াও কিন্তু দারুণ উপকারি।
লবঙ্গ চা তৈরির পদ্ধতি
সসপ্যানে দুই কাপ পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এতে কয়েকটা লবঙ্গ গুঁড়ো করে দিন, এর সঙ্গে আদা থেঁতো এবং দারুচিনি মিশিয়ে ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। তারপর চা ছেঁকে নিয়ে তাতে ১ চা চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
লবঙ্গ চা পানে উপকারিতা
ওজন কমায়
এই চা হজম প্রক্রিয়া আরো সক্রিয় করে। এতে ব্যবহৃত মসলাগুলো মেটাবলিক রেট বাড়াতে সাহায্য করে, যা ফ্যাট-বার্ন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে।
স্কিন ইনফেকশন নিরাময় করে
অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে, লবঙ্গ চা ত্বকের নানা সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। এ ছাড়াও এই চা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, যা চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়া আটকায়।
সাইনাস থেকে মুক্তি দেয়
লবঙ্গ চা সাইনাস সমস্যা দূর করতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে, যা আমাদের শরীরকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। এই চা জ্বর নিরাময়েও দারুণ কার্যকর।
মাড়ি এবং দাঁতের ব্যথা কমায়
লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা এবং ফোলা মাড়ি থেকে মুক্তি দেয়। এই চা আমাদের মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে। এর ফলে দাঁতের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মেলে।
লবঙ্গ চায়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
দিনে একবার বা দুবার লবঙ্গ চা পান স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে অত্যধিক পান করলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, পেশী ব্যথা এবং শারীরিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের অবশ্যই এই চা পানের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে।
এই চা পান করার পর যদি বমি বমি ভাব অনুভব করেন, তবে খাওয়া বন্ধ করাই ভালো। আর লবঙ্গ চা পানের পরে শরীর খুব খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।