সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শুরু হয় পরীক্ষা যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী।
আজ প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র, দাখিলের কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা। ২৯ হাজার ৫৯১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, পরবর্তীতে সিলেটসহ দেশের কিছু এলাকায় বন্যার কারণে দুই দফায় পেছানো হয় পরীক্ষা। এসএসসির নির্ধারিত সূচি মার্চ মাস থেকে সাত মাস পিছিয়ে অবশেষে সেপ্টেম্বরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। এ বছর সকাল ১০টার পরিবর্তে পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ১১টায়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সমকালকে জানান, তাঁরা কেন্দ্র সচিবদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। এখন পর্যন্ত কোথাও কেন্দ্রের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবসহ যে কোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
কয়েকদিন ধরে সারাদেশে বৃষ্টি ছিল। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। তবে আজকের আবহাওয়া অনেকটা ভালো।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলি এবং চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন সে এলাকার পরীক্ষার্থীদের পরিবার। ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থী ৪৯৯ জন। এই পরীক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজনের বাড়ি তুমব্রু সীমান্তে।
এছাড়া রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়িসহ নানা কারণে যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কয়েকদিনের বৃষ্টি ও খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যানবাহন বেশ ধীরগতিতে চলাচল করছে।