আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক, যা চলবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ৭৭তম ইউএনজিএ বৈঠকে সরাসরি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সাধারণ পরিষদের বিতর্কে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে ঢাকার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ, যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলের নেতা ও কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ১৮ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের উদ্দেশে যুক্তরাজ্যের রাজার সংবর্ধনা আয়োজনে যোগ দেবেন। পরদিন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্কে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবে। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সফরসঙ্গী হবেন। নিউইয়র্ক ভ্রমণের আগে প্রধানমন্ত্রী ১৫ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে যাবেন। নিউইয়র্ক সফর শেষে তিনি ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন। এবারও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করবেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে একাধিক বৈঠকে অংশ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবারের মতো বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। কসোভো প্রেসিডেন্ট, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রধান, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়ে পারস্পরিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এ সফরে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হবে কিনা- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি আলোচনায় আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মূল বিতর্কে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আরও চারটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ও আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে দুটি সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন তিনি। এবারে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হচ্ছেন ১৬৭ জন।