ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিভি রিহ শহরে একটি বাঁধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এটি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্মস্থান। দেশটির কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, বুধবার মধ্য ইউক্রেনের ক্রিভি রিহ শহরে অন্তত ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এই শহরে যুদ্ধ শুরুর পূর্বে অন্তত ছয় লাখ ৫০ হাজার লোক বসবাস করতেন।
বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, কারাচুনভ বাঁধে রুশ বাহিনী আঘাত হানে। তিনি সেই সময় রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
জেলেনস্কি বলেছেন, এই জলবাঁধের ওপর সামরিক কোনো মূল্য নেই। এর ওপর হাজার হাজার বাসিন্দা তাদের জীবিকা নির্ভর করে।
ক্রিভি রিহ সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেকসান্দার ভিলকুল এক বিবৃতিতে বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি এড়ানোর জন্য আমি অনুগ্রহ করে নির্দিষ্ট রাস্তার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলছি।
টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি বলেন, ১১২ বাড়ি ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে এবং বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে, বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ডেপুটি প্রধান কিরিল তিমোসেঙ্কো বলেন, হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা ২০৪ দিনে গড়িয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীর পিছু হটার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেন, উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণে তার সেনাবাহিনী রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে। যদি এই দাবি সত্যি হয়, তাহলে গত পাঁচ মাস ধরে রাশিয়া ইউক্রেনের যতটা জায়গা দখলে নিয়েছিল, ইউক্রেনীয় সেনারা মাত্র সাত দিনে তার চেয়ে বেশি এলাকা পুনর্দখল করেছে।