হাতে কিছুটা সময় নিয়ে মিম উত্তরার নিজের কেন্দ্র ভেবে যেখানে আসেন, আদতে এটা তাঁর নয়। ভুল কেন্দ্রে এসে মিম নার্ভাস হয়ে যান।
এসে জানতে পারেন এটি মিমের কেন্দ্র নয়। সঠিক পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হলে সঠিক সময়ে পৌঁছানোই যাবে না।
নার্ভাস হয়ে পড়েন মিম। এ সময় উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ এগিয়ে আসে। মিমকে বলা হয়, ‘তুমি চিন্তা করো না, মা আমরা তোমাকে ঠিক টাইমেই পোঁছে দিচ্ছি। ’ এরপর মিমকে নিয়ে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। তাঁকে নিয়ে উত্তরা গার্লস স্কুল কেন্দ্রে রওনা হয় ওই গাড়ি।
ভুল কেন্দ্র থেকে বের করে পুলিশের গাড়িতে ওঠানো পর্যন্ত প্রতি মুহূর্তে বারবার মিমকে স্বাভাবিক রাখতে কথা বলে যাচ্ছিলেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসিন পিপিএম। পুলিশ দ্রুতই মিমকে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। এরপর মিমের মুখে হাসি ফোটে, হাসিমুখে কেন্দ্রে প্রবেশ করে।
মিমকে সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কি না সেটাও দায়িত্বরত কর্মকর্তার কাছ থেকে নিশ্চিত হন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসিন পিপিএম।
পুরো ঘটনার একটি ভিডিও রয়েছে মোহাম্মদ মোহসিনের ফেসবুক পেইজে।
জানা গেছে, সাপোর্ট নামের সেবার আওতায় পুলিশের ১০টি মোটরসাইকেল যানজটপ্রবণ এলাকায় রাখা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যানজটে আটকা পড়লে সেই মোটরসাইকেলে তাদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ ছাড়া আলাদা তিনটি গাড়ি প্রস্তুত রাখা আছে, কেউ ভুলে প্রবেশপত্র ফেলে এলে সেটাও এনে দেওয়া হবে।