রেকর্ড শব্দটি যেন লিওনেল মেসির নামের সমার্থক হয়ে গেছে অনেক আগেই। রেকর্ডের পর রেকর্ডের মালা জড়িয়েই যিনি খেলতে নামেন মাঠে, গতকাল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে আরও তিনটি রেকর্ড করেছেন সেই মেসি। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল গোলের অবদানে রেকর্ড গড়ে এবার ফুটবল সম্রাট পেলেকে পেছনে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি।
নিজের ঘর বার্সেলোনা ছেড়ে গত মৌসুমে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমটা নতুন দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই পার করেছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা। তবে চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে ফর্মে রয়েছেন মেসি। নেইমার আর এমবাপ্পেকে নিয়ে পিএসজির আক্রমণভাগকে করে তুলেছেন ভয়ংকর। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ইসরাইলের ক্লাব ম্যাকাবি হাইফার বিপক্ষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় পায় পিএসজি। নিজের দলের হয়ে শুরুর গোলটি করার পাশাপাশি কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দিয়েও একটি গোল করান মেসি।
গতকাল রাতের এক গোল আর এক অ্যাসিস্টেই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পেলেকে পেছনে ফেলে গোলের অবদানের রেকর্ডটি নিজের করে নেন মেসি। এই নিয়ে মেসির মোট ১১১৩ গোলে অবদান রেখে নতুন রেকর্ড গড়লেন মেসি। ৯৮৪টি ম্যাচ খেলে ৭৭৪ গোলের সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে মেসি গোল করিয়েছেন ৩৩৯টি।
গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে ১১১১ গোলে অবদান রেখে এতোদিন শীর্ষস্থানে ছিলেন তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭৫৬ গোলের পাশাপাশি পেলের অ্যাসিস্ট ছিলো ৩৫৫টি।
১০৪৯টি গোলে অবদান নিয়ে এই তালিকার তিন নাম্বারে রয়েছে হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাস। পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ১১২৯ ম্যাচে ১০৪৫টি গোলে অবদান রেখে রয়েছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে।
গতকাল রাতে ইসরায়েলের ক্লাব মাকাবি হাইফার বিপক্ষে নিজের চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্যারিয়ারের ১২৬ তম গোলটি করে আরেকটি রেকর্ডে মেসি পেছনে ফেলেছেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে। এই নিয়ে ইউরোপ সেরার এই আসরে ৩৯টি ভিন্ন ভিন্ন দলের বিপক্ষে গোল করলেন মেসি। এতোদিন ৩৮টি ভিন্ন ভিন্ন দলের বিপক্ষে গোল করে একই কাতারে ছিলেন ফুটবলের এই দুই কিংবদন্তি তারকা।
এদিকে, গতরাতের গোলে আরও একটি রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন মেসি। এই নিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের টানা ১৮ মৌসুমে গোল করলেন মেসি। টানা ১৭ মৌসুমে গোল করে মেসির পরেই রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা বেনজেমা।