বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা, আমবৌলা ও পয়সা এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা সন্ধ্যা নদীর অংশ ভরাট ও দখল করে রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথর ও সমিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং ইমারত গড়ে তুলেছেন। এসব কারণে নদী নাব্যতা হারিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগধা এলাকায় সন্ধ্যা নদী দখল করে মাটি ফেলেছে প্রভাবশালী মো. সান্টু বাহাদুরের মেসার্স লিমা এন্টারপ্রাইজ, পয়সা সেতুর নিচে বালু ভরাট করে দখল করে নিয়েছেন মো. কাওছার শিকদার, আমবৌলা স্লুইস গেটসংলগ্ন স্থান দখল করেছেন মো. কবির খান, বাগধা গ্রামের গাউস বক্তিয়ারসহ অনেকে রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথর, সমিলসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ইমারত গড়ে তুলেছেন।
অবৈধ দখলের কারণে সন্ধ্যা নদী সংকুচিত হয়ে পড়ায় নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠে লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন নদী দখল হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যা নদী দখলদারদের তালিকা তৈরি করেছি। স্থাপনা অপসারণে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ’ তিনি জানান, রবিবার সরেজমিন পরিদর্শন ও মাইকিং করে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে মালপত্র সরিয়ে নিতে।
লিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক সান্টু বাহাদুর বলেন, ‘আমার জায়গায় ব্যবসা করছি। নদী দখল করিনি। আমার জমি নদীতে ভেঙে গেছে। ’
মো. কাওছার শিকদারের বাবা আবুল শিকদার বলেন, ‘আমরা নদীর কিছু অংশ দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করেছি। নদীর জায়গা থেকে আমরা মালপত্র সরিয়ে নেব। ’