বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গতকাল বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। সীমান্তের বাসিন্দারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি।
স্থানীয়রা জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে সীমান্তের মিয়ানমার অংশে কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন শোনা যেত দেশটির সেনাবাহিনীর মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ। বিমান থেকে বোমা ফেলার বিকট শব্দও শোনা যেত। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় এ ধরনের কোনো শব্দ তাঁরা শোনেননি।
তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজাহান সমকালকে বলেন, সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির কারণে প্রায় এক মাস ধরে তাঁরা আতঙ্কে আছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৩০ শতাংশ কমে গেছে। কিন্তু স্বস্তির কথা হলো মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা গোলাগুলির শব্দ শোনেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এখন শান্ত হলেও তাঁদের কড়া নজরদারি ও টহল জোরদার রয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, দীর্ঘদিন গোলাগুলি হলেও গতকাল সীমান্তের মিয়ানমার অংশে গোলাগুলি হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত থাকায় শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। বিজিবির টহল অব্যাহত আছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যে গোলাগুলি চলছিল, তা বন্ধ আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।