বরুসিয়া ডর্টমুন্ড কোচ টারজিচ তাঁর সবই জানেন। কীভাবে খেলেন, ম্যাচের কোন সময়ে কী করতে পারেন—খেলা শেষে আর্লিং হলান্ড নিজেই জানিয়েছেন এসব কথা। দুই মাস আগে বরুসিয়া ছেড়ে আসা খেলোয়াড় সম্পর্কে সব জানেন বলেই হয়তো ম্যাচের ৮৩ মিনিট পর্যন্ত হলান্ডকে থামিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।
কিন্তু ম্যান সিটিতে আসার পর ‘গোল মেশিন’ হলান্ডের ‘উৎপাদন-ক্ষমতা’ যে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে পুরোটা সময় থামিয়ে রাখার উপায় কী!
বরুসিয়া পারেনি। পারেনি হলান্ডের ‘সিলেবাসের বাইরে’ থেকে করা এক দুর্দান্ত গোলের কারণে। ম্যাচে তখন ১-১ সমতা। ইতিহাদে ৯০ মিনিট পূর্ণ হতে বাকি আর ৬ মিনিট।
এমন সময়ে বাঁ প্রান্ত থেকে জোয়াও কানসেলোর বাতাসে ভাসানো পাস পেয়ে যান হলান্ড। বলটা সামনে দিয়ে যাওয়ার আগেই দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে লাফ দেন হলান্ড, শূন্যে থাকতেই বাঁ পায়ের বুটের বাইরের অংশের টোকায় বল জালে!
কী হলো, কীভাবে হলো—বুঝে উঠতে একটু সময় লাগল সবারই। শূন্যে ভেসে ‘রং ফুটে’ গোল—ম্যান সিটি ভাসল উচ্ছ্বাসের জোয়ারে, বরুসিয়া হতবাক আর নিস্তব্ধ।
ক্যামেরা খুঁজে নিল গ্যালারিতে হেসে ওঠা একটি মুখ—আলফি হলান্ড, সাবেক সিটি মিডফিল্ডার। যার আরও বড় পরিচয়—আর্লিং হলান্ডের বাবা।
অবিশ্বাস্য এ গোলের পর অবশ্য দলের উদ্যাপনে নিজেকে ভাসাননি হলান্ড। প্রতিপক্ষ সদ্য সাবেক ক্লাব বলে বাঁধ দিয়েছেন উচ্ছ্বাসে। ম্যাচ শেষে বলেছেনও বরুসিয়া নিয়ে তাঁর আবেগের কথা, ‘ম্যাচটা আমার জন্য বিশেষ ছিল, আবেগেরও। বরুসিয়ায় আমার অনেক বন্ধু আছে। কোচ, স্টাফ—সবাইকে আমি চিনি। যে কারণে এটা বিশেষ।’
সিটির হয়ে এটি ছিল হলান্ডের ৯ ম্যাচে ১৩তম গোল। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে ২১ ম্যাচে ২৬তম।