বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপার থেকে থেমে থেমে মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। এরই মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ছোড়া গোলা বাংলাদেশে এসে পড়েছে কয়েকবার। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে। এ অবস্থায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়দের ঘোরাঘুরি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক মাসের বেশি সময় ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’র লড়াই চলছে। ওয়ালিডং ও খ্য মং সেক পাহাড়ে আরাকান আর্মির স্থাপনা ধ্বংস করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মর্টার শেল নিক্ষেপ করছেন। ফলে সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘুমধুম, তমব্রু, বাইশফাঁড়ী, রেজু, আমতলি, ফাত্রাঝিড়ি এলাকার মানুষজন রয়েছেন চরম আতঙ্কে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, আতঙ্কে আছে ঘুমধুম সীমান্তের স্থানীয়রা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল, গুলি বাংলাদেশের সীমানায় এসে পড়ছে। এলাকা ছেড়ে অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। অনেক পরিবার এখন অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার পথ খুঁজছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারছেনা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস জানান, সীমান্ত এলাকার লোকজনদের সর্তক করে দেয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ঘুরাফেরা না করতে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সর্তক অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল এসে পড়ে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কোনারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেটি বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরও পাঁচ জন।
এর আগে শুক্রবার বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হন উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা (২২) নামে এক তরুণ। এই পরিস্থিতির কারণে ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।