প্রথম বার নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে সোনার ফ্রেমে নিজেদের তুলে রাখলেন এদেশের নারী ফুটবলাররা। এতদিন নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে নারী দলকে গড়ে তুলেছেন। নারী দলের কোনো কার্যক্রম যেন বন্ধ না থাকে তার জন্য কখনো নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করেছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন এবং মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। গতকাল দুপুরে ছাদখোলা বাসে বিমানবন্দর হতে রওনা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন দল সন্ধ্যার পর বাফুফেতে পৌঁছায়। সেখানে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন খেলোয়াড়দের অভ্যর্থনা জানান। লোকারণ্য হয়ে উঠেছিল বাফুফের ভেতরে, আশপাশে। এলাকা জুড়ে যানজট লেগে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়নদের এক নজর দেখার জন্য।
সেখানে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমি আমার জীবদ্দশায় এমন চিত্র দেখিনি।’ দেশের সবকয়টি টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করেছে। পরে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘২০১২ সালে ট্যালেন্ট হান্ট করে নারী ফুটবলের প্রশিক্ষণ শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়। আমি এবং সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বসে আলোচনা করছিলাম। কিন্তু স্পন্সর ছিল না। বাফুফের সভাপতি আমাকে বললেন, ‘তুমি শুরু কর। হয়ে যাবে।
আমি এবং সভাপতি টাকা দিয়ে ক্যাম্প চালিয়েছি। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ। আমার পক্ষে তো এটা সম্ভব নয়।’ সালাহউদ্দিন স্পন্সর খুঁজছেন। যেন এই মেয়েরা দেশের ফুটবলের জন্য আরো সাফল্য আনতে পারেন। তার এই সাফল্য মাত্র শুরু। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘একজন ফুটবল উন্নতি করতে পারে না। সাপোর্ট দরকার হয় সরকারের। জনগণের সাপোর্ট দরকার হয়। সবাই মিলে উন্নতি করতে হয়। এটা কোনো ওয়ানম্যান শো নয়। আমরা টার্গেট করছিলাম এশিয়ার ফুটবল। আমি নেক্সট লেভেলে খেলতে চাই। আমরা ওয়েট করছি থাইল্যান্ড, কোরিয়া, জাপানের বিপক্ষে খেলব। আমরা হারব। কিন্তু একটা সময় জিতব। আমি চিন্তা করছি সেন্ট্রাল এশিয়ার। না হলে এই খেলা খেলে লাভ নেই।’