বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলামান টিকা কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩২ জন টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৪০০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার ৭১১ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২২ হাজার ৫৯৮ জনকে এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৭৭ হাজার ৪০০ জনকে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা কার্যক্রমের শুরুর পর এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৬৮ জন। দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ১৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪০৯ জন মানুষ। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩২ জন।
দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৬০০ জন। গত এক দিনে ১১০ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ৫২০ জন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
আর ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭১ জনকে করোনা প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় ফাইজারের বিশেষ এ টিকার ডোজ পেয়েছে ১৮ হাজার ৮৪৪ শিশু।
এদিকে দেশে এ পর্যন্ত চার লাখ ৩৪ হাজার ১৬১ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মোট ৫৭৯ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।