ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলগুলোতে যে তথাকথিত গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে তা গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। এই গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়া এসব অঞ্চলকে রাশিয়া তাদের অংশ করে নিতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলকৃত অঞ্চলে মস্কো যেসব কর্মকর্তাদের বসিয়েছে, তারা দাবি করছে এই গণভোটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবাই রাশিয়ার অংশে যাবার জন্য মত দিয়েছে। এই গণভোটকে ‘জালিয়াতি’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন এবং তার মিত্র দেশগুলো।
এই গণভোট আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাবার কারণে এর প্রক্রিয়া স্বাধীনভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণাঞ্চলে জাপোরিশা অঞ্চলে এই গণভোট আয়োজন করা হয়।
গণভোট থেকে প্রাপ্ত আংশিক ফলাফলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ রাশিয়ায় যোগ দেবার পক্ষে মত দিয়েছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এসব অঞ্চলে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে ভোট দেবার আহবান জানানো হয়েছিল। এ চারটি অঞ্চল ইউক্রেনের মোট ভূমির প্রায় ১৫ শতাংশ।
দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে রুশপন্থী বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা খবর দিচ্ছে যে ৯৯.২৩ শতাংশ মানুষ রাশিয়ায় যোগ দেবার পক্ষে ভোট দিয়েছে। গণভোটের ক্ষেত্রে এ ধরণের ফলাফল বেশ অস্বাভাবিক।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার রাশিয়ার পার্লামেন্টে-এর এক যৌথ অধিবেশনে এ চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ করে নেবার ঘোষণা দেবেন।
২০১৪ সালের মার্চ মাসে একই ধরণের একটি গণভোটের আয়োজন মাধ্যমে পুতিন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ করে নেবার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে গণভোটও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়নি।