Home » ইরানে গ্রেফতার বিক্ষোভকারীদের ধর্ষণের হুমকি

ইরানে গ্রেফতার বিক্ষোভকারীদের ধর্ষণের হুমকি

0 মন্তব্য 373 ভিউজ

নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর ইরান জুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমাতে কাজ করে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজারো মানুষকে। এদের একজন মরিয়ম (ছদ্মনাম)। ‘মাটিতে ফেলে একজন অফিসার তার বুট দিয়ে আমার পিঠে আঘাত করে। সে আমার পেটে লাথি মারে, আমার হাত বেঁধে একটি ভ্যানে ওঠায়।’ এভাবেই ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার বর্ণনা দিচ্ছিলেন ৫১ বছর বয়সী মরিয়ম। খবর বিবিসির।

বিবিসির মাধ্যমে যাচাই করা ভিডিওতে দেখা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করছে এবং ধরতে পারলে গ্রেফতার করছে।

মরিয়ম বিবিসিকে জানান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে যা দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ। একজন কমান্ডারকে সেনাদের নির্দয় হওয়ার নির্দেশ দিতে শোনা গেছে। নারী অফিসাররাও ভয়ংকর। তাদের একজন মরিয়মকে চড় মেরেছে এবং ইসরায়েলি গুপ্তচর ও যৌনকর্মী বলে গালি দিয়েছে।

তাদের যখন রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর হেফাজতে স্থানান্তর করা হয় তখন পাশে থাকা আটককরা অন্যরা  প্রতিবাদ করছিলেন বলে জানান মরিয়ম।

মরিয়ম আরও জানান, ভ্যানে তার সঙ্গে অন্য মেয়েরাও ছিল। কিন্তু তাদের বয়স অনেক কম। তাদের সাহসিকতা তাকে মুগ্ধ করে। তারা চিৎকার করছিল এবং অফিসারদের নিয়ে মজা করছিল। এই প্রজন্ম তাদের প্রজন্ম থেকে আলাদা। তারা অকুতোভয়।

রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর সদস্যরা তাকেসহ অন্তত ৬০ জন নারীকে একটি ছোট ঘরে রাখে। মেয়েগুলো একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং বসতে বা নড়াচড়া করতে পারেনি। টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। যখন তারা রুমের ভেতরে চিৎকার করে প্রতিবাদ করে তখন বাহিনীর সেনারা হুমকি দিতে থাকে যে, মেয়েরা চুপ না থাকলে তাদের ধর্ষণ করা হবে।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.